রাজশাহী ও ফেনীতে ১৬০ জনকে কম্বল এবং শেরপুরে ১০০ জনকে কম্বল ও মশারি বিতরণ

মদনপুর আলোর পাঠশালা মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার মা সমাবেশে প্রথম আলো ট্রাস্টের অর্থায়নে ১২৫ জন মাকে শীতবস্ত্র পরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মদনপুর আলোর পাঠশালা মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার মা সমাবেশে প্রথম আলো ট্রাস্টের অর্থায়নে ১২৫ জন মাকে শীতবস্ত্র পরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভোলার দৌলতখান উপজেলার দুর্গম মদনপুর ইউনিয়নের মদনপুর আলোর পাঠশালা মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার মা সমাবেশে প্রথম আলো ট্রাস্টের অর্থায়নে ১২৫ জন মাকে শীতবস্ত্র পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই দিন রাজশাহী ও ফেনীতে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ১৬০ জন দরিদ্র শীতার্ত ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীকে কম্বল দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং সিটিব্যাংক এনএর সহযোগিতায় শেরপুরে ১০০ জনের মধ্যে কম্বল ও মশারি বিতরণ করা হয়েছে।

ভোলায় মদনপুর আলোর পাঠশালা মিলনায়তনে বেলা ১১টায় শুরু হয় মা সমাবেশ। এ সময় মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল খালেক, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব এস এম বাহাউদ্দিন, আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তাদের সঙ্গে মায়েরাও তাঁদের সন্তানদের বাল্যবিবাহ না দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠানোর অঙ্গীকার করেন। পরে মদনপুর আলোর পাঠশালা, চরপদ্মা মকবুল আহমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরটবগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২৫ জনের মায়ের গায়ে প্রথম আলো ভোলা বন্ধুসভার সদস্য ও শিক্ষার্থীরা শীতবস্ত্র জড়িয়ে দেন।

শেরপুরের শ্রীবরদীর মৃগিনদীসংলগ্ন খড়িয়া কাজির চর ইউনিয়নের চারটি গ্রামের ৫০ পরিবারসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১০০ জনকে দুপুরে কম্বল ও মশারি দেওয়া হয়েছে।
শেরপুরের শ্রীবরদীর মৃগিনদীসংলগ্ন খড়িয়া কাজির চর ইউনিয়নের চারটি গ্রামের ৫০ পরিবারসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১০০ জনকে দুপুরে কম্বল ও মশারি দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী নগরের কুমারপাড়ায় সিলভার জুবলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টায় ১০০ জনকে কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল পেয়ে আশা ঘোষ (৪৮) বলেন, ‘আগে কেউ কম্বল দেয়নি। এখানে কম্বল পেয়ে পুরস্কার পাওয়ার মতো আনন্দ লাগছে।’ শ্যামলী খাতুন (৩০) বলেন, ‘ভাবতেই পারিনি এভাবে কম্বল বিতরণ করা হয়। আজ কম্বল পেয়ে খুব খুশি হয়েছি।’

শেরপুরের শ্রীবরদীর মৃগিনদীসংলগ্ন খড়িয়া কাজির চর ইউনিয়নের চারটি গ্রামের ৫০ পরিবারসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১০০ জনকে দুপুরে কম্বল ও মশারি দেওয়া হয়েছে। এসব বিতরণে সহযোগিতা করেন বন্ধুসভার সদস্যরা। শ্রীবরদীর পূর্ব রূপারপাড়া গ্রামের প্রয়াত ফজলুর রহমানের বাগানবাড়ি প্রাঙ্গণে পূর্ব রূপারপাড়া, পশ্চিম রূপারপাড়া, মাদারপুর ও পোড়াগড় গ্রামের ৫০ জনের হাতে কম্বল ও মশারি তুলে দেন লঙ্গরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন-অর-রশীদ। কম্বল ও মশারি পেয়ে পূর্ব রূপারপাড়া গ্রামের জমেলা খাতুন (৭০) বলেন, ‘শীতে কষ্ট পাইলেও আমগরে কেউ কম্বল দেয় নাই। আপনারাই আমগরে প্রথম কম্বল দিলেন। এই কম্বলে একটু হইলেও আমগরে কষ্ট কমব।’

এ ছাড়া শেরপুর সদরের পশ্চিমশেরী, শেরীপাড়া, খরমপুর, বাগরাকসা, মাধবপুর ও গোপালবাড়ী এলাকার আরও ৫০ জন দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে কম্বল ও মশারি বিতরণ করা হয়।

ফেনীর সোনাগাজীতে কুঠিরহাট ও বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পূর্ব বাতদুরিয়া নূরানি মাদ্রাসার অসহায় ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয় দুপুরে। বগাদানা ইউনিয়নের বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব কম্বল বিতরণ করেন সোনাগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল পারভেজ।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন: নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, প্রতিনিধি, ভোলা, শেরপুরসোনাগাজী, ফেনী]

সূত্র: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে প্রথম আলো, ৫ এর পাতা ছাপা হয়েছে।