‘ভুল ধারণা থেকে মাদক সেবন শুরু করি। একপর্যায়ে নিজের ভুল বুঝতে পারি। পরে জানতে পারি প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী আন্দোলনের কথা। নিজেকে শোধরানোর জন্য পরামর্শ সহায়তা সভায় আসি। এখানে এসে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে মাদকাসক্তি পুনর্বাসনকেন্দ্রে ভর্তি হই। এখন আমি ভালো আছি।’
কথাগুলো ঢাকার তরুণ এক চাকরিজীবীর। গতকাল শনিবার প্রথম আলো ট্রাস্টের ১১২তম মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভায় অংশ নেন ওই চাকরিজীবী।
ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে আয়োজিত সভা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আসা মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা প্রথম পর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে একান্তে কথা বলে ব্যবস্থাপত্র নেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনা সভা। প্রতি মাসে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, নিরাময়প্রক্রিয়া শেষ হওয়া মানে সব শেষ, আসলে তা নয়। এখান থেকে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু। নিরাময়কেন্দ্র থেকে ফিরে আসার পর পরিবারের সদস্যদের তার প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। সহায়তা ও ভালোবাসা দিয়ে মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত করা সম্ভব।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা রহমান, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান খান, শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জোবায়ের মিয়া ও কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি পুনর্বাসনকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক মো. রাহেনুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ফেরদৌস ফয়সাল।
আগামী ২৫ জানুয়ারি বিকেল চারটায় একই স্থানে পরবর্তী পরামর্শ সহায়তা সভা হবে।