শিশুদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শুরু

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমে শিশু বিকাশের শিশুরা।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমে শিশু বিকাশের শিশুরা।

গ্রামের শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুবিকাশ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস, ছবি আঁকা, খেলাধুলা ও নৈতিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে শিশুদের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে তিনটি কম্পিউটার দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এখানে তারা কম্পিউটার পরিচালনা, অফিস ম্যানেজমেন্ট, এক্সেল ও গ্রাফিক্সের কাজ শিখবে৷ প্রতি শুক্রবার প্রশিক্ষণের ক্লাস হবে।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমে শিশু বিকাশের শিশুরা।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমে শিশু বিকাশের শিশুরা।

শিশু বিকাশের শিক্ষার্থী জোলেখা চরসুবুদ্ধি জুনিয়র হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা একজন বর্গাচাষি। এতে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে তাদের সংসার। প্রকল্প থেকে তার বাড়ি প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হলে সেই দূরত্ব তার ইচ্ছা শক্তির কাছে খুবই সামান্য। সে কখনো ক্লাস মিস করে না। শিশু বিকাশ কার্যক্রমের শুরু থেকেই সে নিয়মিত শিশু বিকাশের ক্লাসে আসে। ক্লাস শুরুর দিন গত ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলোর শেষ পাতায় প্রকাশিত ‘আইমানের বাজিমাত’ শিরোনামে সংবাদের গল্প শুনে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন বোনে জোলেখা।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমে শিশু বিকাশের শিশুরা।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমে শিশু বিকাশের শিশুরা।

আরিফা আক্তার স্থানীয় ইউনূস মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। আরিফা স্বপ্ন দেখত একদিন কম্পিউটার শিখবে। কিন্তু কম্পিউটার শিখার কোনো সুযোগ তার ছিল না। স্কুলে কম্পিউটার থাকলেও তাদের কখনো ধরতে দেওয়া হয় না। অথচ আইসিটি ক্লাসে শুধু থিওরিটিক্যাল ধারণা দেওয়া হয়। কম্পিউটার শিখতে পারার সুযোগ পেয়ে আরিফার মতো অন্য শিশুরাও খুব খুশি, উৎফুল্ল৷

উল্লেখ্য, এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্টের পরিচালনায় সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, ওষুধ বিতরণ করা হয়। সপ্তাহে ৩ দিন ৩ জন চিকিৎসক দ্বারা এই চিকিত্সা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে ১০৫ জন রোগীকে এই সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, কিশোরীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান, বয়স্কভাতা প্রদান ও শিশুপার্ক চালু আছে।