'ঘরে খাওনের টানাটানি, খুব উপকার অইলো'

সীমা আক্তারের (৩০) স্বামী কালু মিয়া বেকারিশ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে দুই মাস কাজ নেই। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় আম্পান জীর্ণ ঘরটির চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে দিনে-রাতে দুবার ঘরদোর ভাসে। এমন দুর্যোগে ঘরে খাবার নেই। ছোট্ট সন্তানের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দেবেন, সে সামর্থ্যও নেই।

গতকাল সোমবার দুপুরে প্রথম আলো ট্রাস্টের খাদ্যসহায়তা পাওয়ার পর চোখে আনন্দ ধরছিল না বরিশালের মোহাম্মদপুর চরের এই বাসিন্দা সীমা আক্তারের। বললেন, ‌‘ঘরে খাওনের টানাটানি। খুব উপকার অইলো। এহন কয় দিন দুগ্গা ভাত-ডাইল-আলু দিয়া নিশ্চিন্তে চালাইতে পারমু।’

বরিশাল ছাড়াও গতকাল সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

গতকাল দুপুরে বরিশাল নগরের কীর্তনখোলা তীরের মোহাম্মদপুর চর, পলাশপুর, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকার আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ অসহায় দরিদ্র পরিবারের মধ্যে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা করা হয়।

পলাশপুর হজরত শাহজালাল (রহ.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ত্রাণ বিতরণকাজে অংশ নেন বন্ধুসভার সদস্যরা। এ সময় বরিশাল জেলা বন্ধুসভার সভাপতি মেহদি হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল ইসলামসহ বন্ধুসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরায় ত্রাণ বিতরণ

‘দুহপ্তা হুয়ে গেল, এখনো বাড়ি যাতি পারতিনে। সব ডুবে শেষ হয়ে গে। ত্রাণনি। ধারদেনা কুরে সংসার চলতি। কবে যাতি পারব, তা কতি পারতিনে। এ অবস্থায় তুমরা ত্রাণ দিতেছাও ভালো হবেনে। তুমাদের ত্রাণ পাইয়ে দুই-চার দিন খাতি পারবুনে।’

প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ত্রাণ পেয়ে কথাগুলো বললেন ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামের সাহানারা খাতুন।

সোনাতনকাটির ২৬৫টি পরিবারের সবাইকে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। খাদ্যসহায়তা দেওয়ার সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সাতক্ষীরার সভাপতি জাহিদা জাহান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪ ;ঢাকা ব্যাংক, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

সূত্র: প্রথম আলো প্রিন্ট সংস্করণ, ০২ জুন ২০২০।