ত্রাণ পেলেন মনিরামপুরের ক্ষতিগ্রস্তরা

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মেহেরুন নেছার সংসার তছনছ। বসতবাড়ির ওপর গাছের ডাল পড়ে স্বামী ও এক ছেলে মারা গেছেন। এখন বড় কষ্টে দিন কাটছে মেহেরুনের। দিনমজুরি করে সংসার চালাতে হয় তাঁকে। প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার এই সংগ্রামী নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ত্রাণসামগ্রী।

ত্রাণসহায়তা পেয়ে ভীষণ খুশি মেহেরুন নেছা বললেন, ‘কোনো কৃষিজমি নেই। বসতবাড়ির জায়গাটুকুই সম্বল। ঝড়ে স্বামী আর ছেলেকে হারিয়েছি। তাঁরাই ছিল সংসারের কর্মক্ষম মানুষ। তাঁদের হারিয়ে চার ছেলেমেয়ে নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটছে। আপনাদের চাল-ডালে অন্তত তিন দিন চলে যাবে।’

গতকাল মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় চত্বরে মেহেরুনের পরিবারসহ আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩ পরিবার এবং রোহিতা ইউনিয়নের কোদলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ২২টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করেন বন্ধুসভার সদস্যরা।

মশ্মিমনগরে ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, যশোর বন্ধুসভার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে মণিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়নের ২২টি পরিবারের সদস্যদের হাতে ত্রাণসহায়তা তুলে দেওয়া হয়। কোদলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সুপার মো. মোক্তার আলী।

প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৫৬০টি পরিবারকে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে গতকাল পর্যন্ত মোট জমার পরিমাণ ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

সূত্র: প্রথম আলো প্রিন্ট সংস্করণ, ০৩ জুন ২০২০।