'কয়েক দিন কারও কাছে হাত পাততি হবি না'

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসি ২৫০টি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। গতকাল খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা গ্রামে।  ছবি: সাদ্দাম হোসেন
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসি ২৫০টি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। গতকাল খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা গ্রামে। ছবি: সাদ্দাম হোসেন

ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানার পরে দুই ছেলের হাত ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠতে পেরেছিলেন খুলনার কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নের হরিণখোলা গ্রামের আকলিমা খাতুন। ঝড় থেমে যাওয়ার পর সকালে কোমর সমান পানি ঠেলে বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘর পানির মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, ভেসে গেছে সবকিছু। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও এত দিনে কোনো সাহায্য পাননি বলে জানালেন তিনি।

গতকাল রোববার প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ নিতে এসে নিজের দুর্দশার কথা বলতে শুরু করেন আকলিমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই। পানি ঠেইলে কেউ আসেনি, ত্রাণও পাইনি। এই প্রথম ত্রাণ পালাম। কয়েক দিন আর কারও কাছে হাত পাততি হবি না।’

আকলিমা খাতুনের মতো কয়রা সদর ইউনিয়নের গাবুরা, হরিণখোলা, ঘাটাখালি গ্রামের ২৫০টি পরিবারকে গতকাল খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে দেওয়া ওই খাদ্যসামগ্রী বিতরণে সহায়তা করেছে প্রথম আলো খুলনা বন্ধুসভা।

এই এলাকায় গত ২০ মে রাতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। রাতেই ২ নম্বর কয়রা ও হরিণখোলা এলাকার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় অন্তত পাঁচটি গ্রাম। কিছু এলাকায় এলাকাবাসী রিং বাঁধ দিয়ে নদীর জোয়ারের পানি ঢোকা বন্ধ করতে পারলেও অনেক এলাকায় সম্ভব হয়নি। কয়রা সদর থেকে সড়কপথে ওইসব এলাকার যাতায়াত বন্ধপ্রায়। ত্রাণ নিয়ে ট্রলারে হরিণখোলা ও গাবুরা গ্রামে যাওয়ার পথে চারিদিকে থইথই পানি। এর মধ্যেই যেন ভাসছে ছোট ছোট ঘর। কোমর সমান পানি ঠেলে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয় এসব ঘরে। কিছু কিছু এলাকায় বাঁধের কাছে এসে মানুষ ত্রাণ নিয়ে যান। ত্রাণ বিতরণ কাযক্রমে উপস্থিত ছিলেন কয়রা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুল গফফার ঢালী, খুলনা বন্ধুসভার সভাপতি সুদীপ কুমার কুন্ডু প্রমুখ।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।

হিসাবের নাম : প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর : ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা