ত্রিপুরায় ব্যতিক্রমী দুর্গা

ত্রিপুরা সরকারের দুর্গাবাড়ির দুর্গাপূজা অনেক বিষয়েই ব্যতিক্রমী। পূজার পুরো বন্দোবস্তই হয় সরকারি কোষাগার থেকে। রাজ্য বিধানসভায় পাস করা বাজেটে উল্লেখ থাকে দেবার্চনার। পদাধিকার বলে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক পূজার সেবাইত। আগরতলায় দুর্গাবাড়ির দুর্গাপূজা সরকারি হলেও সাধারণ মানুষও অংশ নেয় ভক্তিভরে।

এখানে দুর্গার দুহাত। রাজ আমল থেকেই এমনই হয়ে আসছে। রাজ পুরোহিত দুলাল চক্রবর্তী প্রথম আলোকে জানান, দেবীর আট হাত থাকে পেছনে লুকোনো। দেখা যায় না। তাঁর ভাষ্য, দেবীর দশভুজা রূপ দেখে ভয় পেয়েছিলেন মহারানি। তাই দুর্গা স্বপ্ন দেখিয়ে মহারানিকে দুহাতের মূর্তিই পূজা করার নির্দেশ দেন। বাকি অষ্টভুজা রূপ নাকি গোপন রয়েছে। তাই অঙ্গহানি হয়নি বলেই রাজ পুরোহিতের দাবি।

তবে রাজবাড়ির দুর্গা দ্বিভুজা হলেও ত্রিপুরার অন্যত্র দশভুজাই দেবী। তবে কেউ কেউ এবার দেবীকে সহস্রহস্তাও বানিয়েছেন।

প্রবীণ নাগরিক সলিল দেববর্মণ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ত্রিপুরার ভারতভুক্তি চুক্তির শর্ত মেনেই এই পূজার ভার বর্তেছে রাজ্য সরকারের ওপর। তাই সরকারের ইচ্ছে বা অনিচ্ছার এখানে কোনো মূল্য নেই।

প্রথা মেনেই শুক্রবার নবমীর দিন মহিষ বলি হচ্ছে দুর্গাবাড়িতে। বলির আগে মহিষকে রাজ প্রথা মেনে জানানো হবে রাষ্ট্রীয় সালাম। এটাও ত্রিপুরার পরম্পরা।