মিরাজের চোখে রশিদ খানরাই পিছিয়ে

আফগান স্পিন আক্রমণের জবাবটা দিতে হবে সাকিব-মিরাজকেই। প্রথম আলো ফাইল ছবি
আফগান স্পিন আক্রমণের জবাবটা দিতে হবে সাকিব-মিরাজকেই। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>আফগানিস্তান সিরিজের আগে রশিদ খান-মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। দুই আফগান স্পিনারকে সমীহ করলেও বাংলাদেশ দলের তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ জানাচ্ছেন তাঁদের চেয়ে রশিদ-মুজিবুর পিছিয়ে থাকবেন কোথায়।

মাঠে আসতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু সনদ অনুযায়ী তাঁর জন্ম তারিখ ২৫ অক্টোবর। ‘ওটা তো অফিশিয়াল, আসল জন্মদিন আজ’—হাসতে হাসতেই সত্যটা জানিয়ে দিলেন ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।

২১ বছর বয়সটাও যে শুধু কাগজকলমেই, সেটিও স্বীকার করতে আপত্তি নেই মিরাজের। একটু আগে যাঁর সঙ্গে দেখা হলো, সতীর্থদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যাঁর পরামর্শ মন্ত্রমুগ্ধের কথা শুনলেন, সেই গর্ডন গ্রিনিজকে নিয়ে শৈশবে শোনা কোনো কথা বা স্মৃতি মনে আছে?

সনদের হিসাব কিংবা প্রকৃত জন্ম তারিখ যেটাই হোক, গ্রিনিজকে নিয়ে কোনো স্মৃতিই মিরাজের মনে থাকার কথা নয়। তবে ভালো করেই জানেন কে এই ভদ্রলোক। ‘তাঁর কথা শুনেছি। বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন। সেদিন শুনলাম তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এরপর অনুষ্ঠান হলো। যখন তিনি কোচ ছিলেন, তখন আমি অনেক ছোট। এত বড় কিংবদন্তির কথা শুনে অবশ্যই ভালো লাগছে।’—গ্রিনিজকে নিয়ে মিরাজের মুগ্ধতা। বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে, সেটির ভিত গড়ে দেওয়ার পেছনে অসামান্য অবদান যাঁর, সেই গ্রিনিজ আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন মিরাজদের। শুভকামনা জানিয়েছেন আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও পরে, আপাতত বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা নেবে আফগান স্পিনাররা, বিশেষ করে রশিদ খান ও মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশের স্পিন বিভাগটাও কম শক্তিশালী নয়। আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাঁর সঙ্গে মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ। নিদাহাস ট্রফিতে যেমনটা দেখা গেছে, দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে খেললে থাকতে পারেন নাজমুল ইসলাম। অভিজ্ঞ আবদুর রাজ্জাক আফগানদের বিপক্ষে থাকবেন কি না, সেটি অবশ্য নিশ্চিত নয়।

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন বিভাগ তুলনা করলে এগিয়ে থাকবে কারা? মিরাজের যুক্তি অন্তত অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকবেন আফগানরা, ‘আফগানিস্তানের দুজন স্পিনার ভালো। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। সাকিব ভাই আছেন। রিয়াদ ভাইও প্রয়োজনে ভালো বোলিং করেন। সব মিলিয়ে বলব যে আমাদের স্পিনারদের মধ্যে যোগাযোগটা ভালো। আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন। এটিই আমাদের এগিয়ে রাখবে।’
মিরাজ এও জানিয়ে রাখলেন, আইপিএল সাকিব-রশিদ খান এক দলে খেলায় তাঁদের ভালো হয়েছে। আর বিপিএলের সৌজন্য রশিদ একেবারে অচেনাও নন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে। মিরাজের আপাতত চিন্তা নিজের চোট নিয়ে। তাঁর আশা, আফগানিস্তান সিরিজের আগেই পুরোপুরি সেরে উঠবেন।