মাহমুদউল্লাহ জিততে চান আফগান সিরিজ

>

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেরাদুনে আফগানিস্তান সিরিজ। সিরিজটা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হবে বলে অনেকে আফগানদের এগিয়ে রাখছেন। তবে মাহমুদউল্লাহ সিরিজটা জেতার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী।

সকালে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর বিসিবি একাডেমি মাঠে ঘণ্টা দুই ব্যাটিং অনুশীলন। আফগানিস্তান সিরিজ চলে আসছে। তৈরি হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। নিদাহাস ট্রফিতে যেভাবে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে নায়ক হয়েছিলেন, আফগানিস্তানদের বিপক্ষেও হতে পারবেন কি না, তা সময় বলে দেবে। তবে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জেতা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ।

আজ অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ। ছবি: বিসিবি
আজ অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ। ছবি: বিসিবি

স্নায়ুচাপ যত বেশি, মঞ্চটা যত বড়, মাহমুদউল্লাহর ব্যাট যেন ততই চওড়া হয়ে ওঠে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেটি দেখা গেছে। মাহমুদউল্লাহর নায়ক হতে দেখা গেছে সবশেষ নিদাহাস ট্রফিতেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই উত্তেজনাময় মুহূর্ত, মাঠ ছেড়ে প্রায় চলে আসা, কত কিছু ঘটে গেল কয়েক মিনিটের মধ্যে। এমন আগুনগরম মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ কীভাবে পেরেছিলেন মাথা ঠান্ডা রাখতে, কীভাবে পেরেছিলেন উদানাকে ছক্কা মেরে দলকে জেতাতে?
দুই মাস হয়ে গেছে। তবুও মাহমুদউল্লাহর মুখে সেই বীরত্বের গল্প শুনতে মোটেও ক্লিশে ঠেকে না, ‘তখন যে ঘটনা ঘটেছিল, আমরা তো খেলতেই চেয়েছি। উত্তপ্ত মুহূর্তে সিদ্ধান্ত একটু এদিক-ওদিক হয়েছে। তারপরও আমরা খেলায় ফিরেছি। সবার প্রচেষ্টায় আর ১৮ কোটি মানুষের দোয়ায় আমরা জিতেছি। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। কখনো কখনো নেতিবাচক ভাবনাও আসছিল। এর আগে এক-দুবার আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, পারব কি পারব না। সৃষ্টিকর্তার ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম আর নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম।’
নিদাহাস ট্রফি এখন অতীত। সামনে আফগানিস্তান সিরিজ। টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে আফগানরা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে, তাদের দুর্দান্ত দুজন স্পিনার আছে। খেলাটা হবেও আফগানদের চেনা কন্ডিশনে। এই সিরিজে বাংলাদেশকে অনেকে পিছিয়ে রাখলেও মাহমুদউল্লাহ ব্যতিক্রম। আজ প্রথম আলোকে বললেন, সিরিজটা জিততে তাঁরা যথেষ্ট আশাবাদী, ‘অনেক আশাবাদী, আশা করি সিরিজটা জিতব। জিততে হলে আমাদের ব্যাটিং বিভাগকে ভালো করতে হবে। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করলে আমাদের ভালো একটা সুযোগ থাকবে। ওদের বোলিং বিভাগটা অনেক শক্তিশালী। অনেক বৈচিত্র্য আছে। বিশ্বমানের দুজন স্পিনার আছে। এ দুটি চিন্তার বিষয়। আমরা অনুশীলন করছি। রশিদ খানকে আমরা আগে দেখেছি। মুজিবকে ওভাবে দেখা হয়নি। তারপরও এটা ভালো একটু সুযোগ আমাদের জন্য।’
যেভাবে রশিদ-মুজিবের কথা বারবার বলা হচ্ছে, সেটি বাড়াবাড়ি না হলেও মাহমুদউল্লাহ মনে করেন আফগান স্পিনারদের সামলানোর সামর্থ্য তাঁদের আছে, ‘দুই দলের স্পিন বিভাগের শক্তি দুই রকম। ওদের রশিদ আর মুজিবকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অনেক বেশি তুলে ধরা হচ্ছে। অবশ্যই তারা ভালো মানের বোলার। তবে তাদের সামলানোর দক্ষতা আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও আছে। আশা করি, ভালো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে। আমি এই দৃষ্টিতেই সিরিজটা দেখছি।’