সুপ্রভাত বাসের চালকের সাত দিনের রিমান্ড

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের ঘাতক চালক সিরাজুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

এর আগে গুলশান থানা-পুলিশ আসামি বাসচালক সিরাজুলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি সিরাজুল তাঁর চালানো বাসের চাপায় আবরার নিহত হন বলে স্বীকার করেছেন। চালকের সহকারীর নাম আসামি প্রকাশ করেননি। তবে বাসমালিকের নাম বলেছেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। আদালত শুনানি নিয়ে আসামি সিরাজুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

চালক সিরাজুলের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। মামলাটি তদন্ত করছেন গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।

আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম। তাঁকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা, ২০ মার্চ। ছবি: হাসান রাজা
আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম। তাঁকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা, ২০ মার্চ। ছবি: হাসান রাজা

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ক্লাস ছিল আবরারের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। ক্লাসে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নর্দ্দায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিইউপির বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাঁকে চাপা দেয়। তিনি বাসের চাকায় পিষ্ট হন। পরে তাঁর লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।

দুর্ঘটনার পর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন আবরারের সহপাঠী, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে স্লোগান দেন। আজও সকাল থেকে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।