গড়াই নদের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কুষ্টিয়া শহর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া গড়াই নদের তীরে জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছেন সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী।

আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শহরের থানাপাড়া জিকে ঘাট এলাকায় কুষ্টিয়া-হরিপুর শেখ রাসেল সেতুর নিচে পশ্চিমাংশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানকালে ছোট–বড় ৩০টি টিনশেডের আধপাকা ঘর উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে কুষ্টিয়া সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অংশ নেন।

গড়াই নদের তীরে জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছেন সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি: প্রথম আলো
গড়াই নদের তীরে জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছেন সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি: প্রথম আলো

ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ১০ দিন আগে প্রত্যেক অবৈধ বাসিন্দাকে নোটিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে কেউই জমির মালিকানার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে আসেনি। বরং বাসিন্দারা নিজ দায়িত্বে তাদের মালামাল দু–এক দিন আগে সরিয়ে অন্যত্র চলে যায়। আইন মোতাবেক অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়। শুধু উচ্ছেদ করেই শেষ নয়, এখানে যাতে পুনরায় দখল করতে না পারে, সেই ব্যাপারে সতর্ক নজর থাকবে। সদর উপজেলার আরও অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় সেখানে পরিদর্শনে যান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ জাহান। তিনি বলেন, নদ-নদী,খাল ও বিল যারা অবৈধভাবে দখল করে আছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলাজুড়ে অভিযান চালানো হবে। নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে যা যা করার, তার সবই করা হবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, নদের তীরে অবৈধ স্থাপনার কয়েকটির মধ্যে রাতের বেলায় মাদক সেবন হতো। স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ায় মাদকের আড্ডাও গুঁড়িয়ে গেল।