খাগড়াছড়িতে ঝুঁকির কথা জেনেও আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না কেউ

পাহাড়ের গায় ঝুঁকি নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক বাড়িঘর। বুলবুলের প্রভাবে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়। ফাইল ছবি
পাহাড়ের গায় ঝুঁকি নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক বাড়িঘর। বুলবুলের প্রভাবে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়। ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’–এর আসন্ন আঘাত থেকে জানমাল রক্ষায় বিকেল থেকে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য জেলা শহরে মাইকিং চলছে। কিন্তু এই মাইকিং-এর কথা কানে নিচ্ছে না কেউ। শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮০০ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না কেউ।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্ব এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, সিভিল সার্জন মো. ইদ্রিস মিয়া, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলমসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা থেকে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকায় জেলা শহরে শালবাগান এলাকার জেলা প্রশাসন ডরমিটরি, শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাগড়াছড়ি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমিল্লা টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ ছয়টি জায়গায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

পাহাড়ের গায় ঝুঁকি নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক বাড়িঘর। বুলবুলের প্রভাবে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
পাহাড়ের গায় ঝুঁকি নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক বাড়িঘর। বুলবুলের প্রভাবে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

দুপুরে কথা হয় ন্যান্সিবাজার এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা মরিয়ম বিবির সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, সামান্য বৃষ্টি হলে ভয় লাগে তবে বাড়িতে হাঁস-মুরগি রয়েছে। এগুলো নিয়েতো আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া যাবে না, তা ছাড়া চুরি হওয়ার ভয় রয়েছে। তাই প্রয়োজনে সারা রাত না ঘুমিয়ে বসে থাকবেন। তারপরেও আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন না।

শালবাগান এলাকার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পাহাড় ধস হয় জানি। কিন্তু ভিটে ছেড়ে যাবো কোথায় ? ঘরেতো অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে।’

এদিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।