ইমরুল বলছেন, বিখ্যাত হলে সমালোচনা হবেই

>ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের পর ইমরুল কায়েসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সমালোচনা। রীতিমতো ট্রলই করা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। আজ বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে সেই সমালোচনা সম্পর্কে বললেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা খুবই বাজে গেছে ইমরুল কায়েসের। একটা সিরিজ খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু ইমরুলের খেলার ধরন বলছিল, তাঁর আত্মবিশ্বাস তলানিতে, দক্ষতা নিয়েও আছে প্রশ্ন। বাজে পারফরম্যান্সে ইমরুলকে কম সমালোচনা সইতে হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কত ‘ট্রল’ (ব্যঙ্গ) হয়ে তাঁকে নিয়ে। কলকাতা টেস্টে দুই ইনিংসে করেছিলেন ৪ ও ৫। ইমরুলের জার্সি নাম্বার ‘৪৫’। অনেকে বলেছেন জার্সি নাম্বারের সঙ্গে মিলিয়ে রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার!

এই যে চারদিকে তাঁকে নিয়ে এত সমালোচনা, স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন ইমরুল, ‘সমালোচনা তো হবেই। মানুষ বিখ্যাত না হলে তো সমালোচনা হয় না! ভারত সিরিজে আমি খারাপ করেছি। আমি নিজেও খুব হতাশ। টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি আরও ভালো হওয়া উচিত। দুই-চার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে, জাতীয় লিগের বোলারদের খেলে ওই পর্যায়ে ভালো করা কঠিন। এটা শুধু আমার জন্য নয়, বড় বড় ব্যাটসম্যানের জন্যও কঠিন। আমাদের সবার ভালো প্রস্তুতি নিয়ে (টেস্ট) খেলতে যাওয়া উচিত।’

সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেললেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইমরুল। ছবি: শামসুল হক
সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেললেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইমরুল। ছবি: শামসুল হক

ভারত সফরটা খারাপ গেলেও আজ বিপিএলে ইমরুল ও তাঁর দলের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে। সিলেটের বিপক্ষে ৬১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে চট্টগ্রামকে জিতিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেট ইমরুল ছন্দ হারিয়েছেন, এমন ঘটনা কমই আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা কেন ধরে রাখতে পারেন না? ইমরুল এবার সাংবাদিকদের কাঠগড়ায় তুলছেন, ‘আপনাদের এই বলার জন্য ছন্দ হারিয়ে ফেলছি! ফর্মে থাকতে থাকতে ফর্ম হারিয়ে ফেলি!’

উত্তরটা ইমরুল রসাত্মক সুরে দিয়েছেন। পরে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললেন আসল কারণটা। অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপে ভেঙে পড়েন। এক-দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর বাদ পড়ার আতঙ্ক নাকি বেশি পেয়ে বসে ইমরুলকে, ‘আমার ক্রিকেট জীবনে নিয়ে কখনো হতাশ হই না। আমার ক্যারিয়ার আরও বড় হতে পারত, হয়নি। জাতীয় দলের চাপ নিয়ে যেটা বললেন, জাতীয় দলে এক বা দুইটা ম্যাচ খেলি। টেস্ট ও ওয়ানডে খেলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলি। জাতীয় দলে এক ম্যাচ রান না করলে কঠিন হয়ে যায়। এখানে (বিপিএলে) আমি জানি সব ম্যাচ খেলব। এই স্বাধীনতা থাকলেই না রান করা সহজ হয়!’