উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের আয়োজন

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের স্টল
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের স্টল

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের সার্বিক সহযোগিতায় ‘আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা: উত্তরণের কৌশল নির্ধারণ’ বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারটিতে প্রায় ৪০০ প্রতিষ্ঠিত এবং আগ্রহী উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদীয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক শেখ মো. সেলিম, মহাব্যবস্থাপক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক। সেমিনারটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান।

মোহাম্মদীয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক তাঁর বক্তব্যে নিজের সংগ্রামী জীবনের গল্প কিছুটা তুলে ধরেন। তিনি নারী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের আরও বেশি কৌশলী হতে হবে।’ সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে শেখ মো. সেলিম নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, উদ্যোক্তাদের নিজেদের ব্যবসা বুঝতে হবে; তাঁদের আরও বেশি সৃজনশীল হতে হবে এবং ব্যাংককে ঋণের জন্য রাজি করাতে হবে।

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম নারীশক্তির ওপর জোর দিয়ে বলেন, যদি তাঁরা ঋণ পেতে ব্যর্থ হন তাহলে হতাশ না হয়ে যেন কেন ঋণ পেলেন না সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করেন। নারীদের আরও বেশি আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীরা বক্তাদের কাছে উদ্যোক্তা উন্নয়নে গবেষণা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনার্থিক সাহায্য-সহযোগিতা (প্রশিক্ষণ, সেমিনার) ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের জবাবে আমন্ত্রিত আলোচকেরা বলেন, দেশের সার্বিক উদ্যোক্তা উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ব্যাংক, উদ্যোক্তা, গবেষক, সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করলে সার্বিক অর্থনীতির সুফল পাওয়া যাবে।