'পুরুষাতঙ্ক' ঘুরছে দেশ-বিদেশ

অপরাজিতা সংগীতা।  ছবি: আবদুস সালাম
অপরাজিতা সংগীতা। ছবি: আবদুস সালাম

পুরুষের সামনে গেলে নারীদের মনে অজানা একটি ভয় কাজ করে। মনের এই ভয়কে কেন্দ্র করেই নারী নির্মাতা অপরাজিতা সংগীতার শর্টফিল্ম বা স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা পুরুষাতঙ্ক। গত বছরের মাঝামাঝিতে এটি নির্মাণ শেষ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সিনেমা উৎসবে তা প্রদর্শিত হচ্ছে।

নারী নির্মাতা অপরাজিতার একক উদ্যোগ এবং বাজেটে এটিই প্রথম নির্মিত শর্টফিল্ম। তাঁর ভাষায়, নারী-পুরুষের একটি মানবিক সহানুভূতিশীল ও সমতার সমাজের দাবির গল্পই হচ্ছে পুরুষাতঙ্ক। এই নির্মাতা জানালেন রিভোল্ট (দ্রোহ) নামের আরেকটি সিনেমা নির্মাণাধীন। এ শর্টফিল্মের কাহিনিও এগিয়েছে নারী নির্যাতনকে কেন্দ্র করে।

অপরাজিতা জানালেন, পুরুষাতঙ্ক ইংল্যান্ডে বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক লিফট অব সেশনে এবং ফার্স্ট টাইম ফিল্ম মেকার সেশনে দুই সপ্তাহ দেখানো হয়। শিলিগুড়িতে একবারসহ ৮ থেকে ১০টি ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। ২৯ মার্চ কলকাতায় সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং ৩১ মার্চ সিলেট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে।

ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করা অপরাজিতা চলচ্চিত্র নির্মাণে হাতে–কলমে কাজ শিখেছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলের কাছে। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। অপরাজিতা পেশায় একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। তাঁর বাবা মারা গেছেন। মা আর তিন বোন মিলেই তাঁদের সংসার।

অপরাজিতা বললেন, নারী নির্মাতা বা ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজের ক্ষেত্রে নারী বলেই যোগ্যতা প্রমাণের জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়।

অপরাজিতার মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখে বা রাস্তায় মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কথা বলার চেয়ে চলচ্চিত্র একটি বড় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। তাই তাঁর ভবিষ্যৎ ইচ্ছা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ।