চার উদ্যোক্তার সারকথা

>
ট্যানের স্বত্বাধিকারী তানিয়া ওয়াহাবের (বাঁয়ে) কাছ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন সাইদা
ট্যানের স্বত্বাধিকারী তানিয়া ওয়াহাবের (বাঁয়ে) কাছ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন সাইদা

চার তরুণ উদ্যোক্তার সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প লিখেছেন তানজিনা আকতারী 

টিপ যখন ক্যানভাস

আকাশ থেকে টুপটাপ বৃষ্টি পড়ে, সেটা সবার জানা। কিন্তু বৃষ্টি যদি পড়তে দেখা যায় কপাল থেকে, কেমন হবে? অবাক হওয়ার কথাই বটে। রংতুলিতে বৃষ্টি আঁকেন সাইদা সুলতানা, আর তাঁর আঁকার ক্যানভাস হলো কপালের ছোট্ট টিপ। যে টিপ ছাড়া বাঙালি নারীর সাজ অপূর্ণ, তাকেই তিনি সাজিয়েছেন বৈচিত্র্যময় নকশায়। হাতে আঁকা ছাড়াও নানা ধরনের টিপের নকশা করে ফ্যাশন-সচেতন মেয়েদের কপালে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

শখের বসেই শৈল্পিক নকশায় হাতে আঁকা টিপ বানানো শুরু করেছিলেন শান্তিনগরের এই গৃহিণী। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে একটি মেলায় ওই টিপ বিক্রির জন্য নিয়ে গেলে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় তাঁর হাতে আঁকা টিপ। অনেকেই জানতে চান মেলা শেষে কীভাবে পাবেন এই টিপ। সে সময় সাইদা কোনো ঠিকানা দিতে না পারলেও একই বছর জুন মাসে ফেসবুকে ‘দয়ীতা’ নামে একটি পেজ খোলেন তিনি। অনলাইনে এভাবেই শুরু হয় তাঁর ব্যবসা। জানিয়ে রাখি, দয়ীতা তাঁর মেয়ের নাম।

নিজস্ব ফুলেল নকশার টিপ চারুলতা ছাড়াও আলপনা, অপরাজিতা, বিডস, ঝুমকা, কড়ি, মেটাল, মোটিফভিত্তিক টিপসহ মোট আট ধরনের টিপ পাওয়া যায় দয়ীতায়। তবে চারুলতার প্রতিই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এ ছাড়া গামছা, জামদানি, কাতান, কাঠ, ক্লে, নানা রকম পুঁতিসহ দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা নানান ধরনের বিডস দিয়ে তৈরি করা হয় দয়ীতার ‘এক্সক্লুসিভ’ গয়না। আর এসব গয়নার বিশেষত্ব হলো, প্রতিটি ডিজাইনের গয়না মাত্র একটি করে তৈরি করা হয়। এই অভিনবত্বের কারণেই দয়ীতা স্বতন্ত্র। জাতীয় এসএমই মেলা, দেশীয় পণ্যের ‘রাংতা’ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে দয়ীতা, হয়েছে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্সের সদস্য। দেশ ছাড়িয়ে ছোট্ট টিপ ও গয়না পাড়ি জমিয়েছে বিদেশেও। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরে বেশি চাহিদা থাকলেও সব মিলিয়ে প্রায় ১৭টি দেশের বাঙালি কমিউনিটিতে দয়ীতার টিপ ও গয়না দারুণ জনপ্রিয়। টিপ ও গয়নাকে সঙ্গী করে দয়ীতা পেয়েছে ‘চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’ উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০১৮।

দয়ীতার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি আঁকতে ভালোবাসতাম। পরিবারের সহযোগিতায় খুব অল্প মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। নকশার বৈচিত্র্যই আমাকে সফলতা এনে দিয়েছে। আলাদা কোনো কর্মী নেই, পরিবারের সদস্যরাই দয়ীতার কারিগর।’ 

সোহেল রানা
সোহেল রানা

পরিসংখ্যানে পড়ে সফল খামারি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছিলেন সোহেল রানা। কিন্তু হঠাৎই একদিন চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি এসে স্বজনদের বললেন, ‘আর চাকরি করব না। ঠিক করেছি খামারি হব।’ শুরুতে বেশির ভাগ মানুষ তাঁকে নিরুৎসাহিত করেছেন। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা বলেছেন, ছেলেটাকে দিয়ে কিছু হবে না। তবু সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে তোলার কাজে হাত দেন তিনি।

নিজ এলাকা নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার রূপগ্রামে গড়ে তোলেন সমন্বিত কৃষি খামার রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্ম। সোহেল রানার সমন্বিত কৃষি খামার এখন এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের অনুপ্রেরণার উৎস।

কৃষক পরিবারের সন্তান সোহেল ছোটবেলা থেকেই ফলের বাগান করার স্বপ্ন দেখতেন। স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ছাত্র অবস্থাতেই বাবার অনুমতি নিয়ে বাড়ির পাশে ছয় বিঘা জমিতে আমের বাগান গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালে যখন চাকরি ছেড়ে গ্রামে এসে ১২ বিঘা জমিতে সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে তোলেন, তখন সঙ্গী হন ছোট ভাই আবদুল বারী। বর্তমানে ১২০ বিঘা জমির সমন্বিত এই কৃষি খামারে ১৪ জন কর্মী সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। কাজের প্রয়োজনে চুক্তিভিত্তিক কর্মীকেও নিয়োগ দেন সোহেল। তাঁর বাগানে ফলের গাছের মধ্যে রয়েছে আম, লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, মাল্টা, খাটো জাতের নারকেল, লেবুসহ ৫০ প্রজাতির ফলের গাছ। খামারে আরও আছে বাসক, তুলসী, নিম, নীল অপরাজিতা, সাদা লজ্জাবতীসহ নানা প্রজাতির ঔষধি ও ফুল গাছ। সেই সঙ্গে পুকুরে মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করা এই নবীন উদ্যোক্তা এখন সফল খামারি।

সোহেল বলেন, ‘সফল খামারি হওয়ার জন্য সারা দেশ ছুটে বেরিয়েছি প্রশিক্ষণের জন্য। পত্রপত্রিকা, বই-পুস্তক ছিল প্রিয় সঙ্গী। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, আরডিএ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএমডিএ থেকে কৃষির ওপর বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছি—শুধু খামারি হওয়ার স্বপ্নপূরণের জন্য।’ নিজের এলাকায় অ্যাগ্রো ট্যুরিজম গড়ে তোলার স্বপ্ন আছে তাঁর। যেখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পুষ্টিগুণসম্পন্ন ফলের গাছ থাকবে। এ ছাড়া বিলীন হতে বসা বিভিন্ন দেশি গাছের সংরক্ষণাগার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

পরিশ্রমী উদ্যোক্তার ক্যাটাগরিতে এ বছর ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’-এর পক্ষ থেকে রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্মকে ইউসুফ চৌধুরী সম্মাননা ২০১৮ প্রদান করা হয়। 

নিজ প্রতিষ্ঠানে আবু সাঈদ আল সাগর। ছবি: সংগৃহীত
নিজ প্রতিষ্ঠানে আবু সাঈদ আল সাগর। ছবি: সংগৃহীত

যন্ত্রের জন্য হাসপাতাল

আবু সাঈদ আল সাগর তখন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিষয়ে প্রথম বর্ষে পড়তেন। একদিন এক চায়ের দোকানে তাঁর সমবয়সী একটা ছেলেকে চা পরিবেশন করতে দেখে খুব চেনা চেনা লাগল। সাঈদ আবিষ্কার করলেন, ছেলেটি তাঁর স্কুলজীবনের সহপাঠী! জানতে পারলেন, হঠাৎ বাবা মারা যাওয়ায় নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আর পড়া হয়নি বন্ধুটির।

কাকতালীয়ভাবে পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার ঘটনাটি সাঈদ ও তাঁর বন্ধুদের মনে ভীষণ নাড়া দেয়। তখন থেকেই আবু সাঈদ আল সাগর, মো. আল-আমিন ইসলাম, উম্মে কুলসুম ও জোবায়ের শেখ নামের চার তরুণ স্বপ্ন দেখেন—একটা কিছু করতে হবে। এমন কোনো উদ্যোগের কথা তাঁরা ভাবতে শুরু করলেন, যা কিনা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের একটি সুন্দর জীবন ও জীবিকার সুযোগ করে দেবে। কয়েক দিন খোঁজখবর করে জানতে পারলেন, রংপুরে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য দক্ষ টেকনিশিয়ানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তেমন কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানও নেই, যেখান থেকে যন্ত্রপাতি মেরামত করা যায়।

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারিগরি দক্ষতা তৈরি করে, এমন একটি ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিসিং কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে থাকেন সাঈদ, যেখানে এই ঝরে পড়া ছেলেমেয়েরাই কারিগর হিসেবে কাজ করবে। অন্যদিকে শহরের মানুষও পাবেন ভালো সেবা। সেদিনের সেই ভাবনার বাস্তব রূপ—বিডি অ্যাসিস্ট্যান্ট। মাত্র দুজনকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানের, এখন যার সদস্যসংখ্যা ১০০। আবু সাঈদ আল সাগর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

সাঈদ হাসতে হাসতে বলেন, ‘মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখির হাসপাতাল আছে। বর্তমানে যন্ত্রের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। আমরা যন্ত্রের হাসপাতাল করেছি, যেখানে অসুস্থ যন্ত্র বাসায় বসে চিকিৎসা নিতে পারছে। আর লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়া জনগোষ্ঠীকে মানুষের চিকিৎসক না বানাতে পারলেও যন্ত্রপাতির চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত করিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি, এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি।’

২০১৬ সালে উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে ইয়ুথফেস্ট চ্যাম্পিয়ন, একই বছর ব্র্যাক আরবান ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের এমপ্লয়মেন্ট বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, ২০১৮ সালে দেশসেরা ৩০ তরুণ উদ্যোক্তার একজন হিসেবে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা বিভাগে। ২০১৯ সালে ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’-এর পক্ষ থেকে নবীন উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন সেরা নবীন উদ্যোক্তা সম্মাননা, বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার আয়োজিত এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ও ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন বিওয়াইএলসি অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড ২০১৯। 

শাহেদ এজাজ আহমেদ
শাহেদ এজাজ আহমেদ

বুয়েটে পড়ে বুটিক হোটেলের স্বপ্ন

‘ইওর প্রোপার্টি, আওয়ার ম্যানেজমেন্ট’ স্লোগানে সেবা শিল্পে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং বিশেষায়িত সেবার মাধ্যমে বুটিক হোটেল ব্যবস্থাপনা শুরু করেন শাহেদ এজাজ আহমেদ। নাম হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইজি। বুটিক হোটেলের ধারণা আমাদের দেশে খানিকটা নতুন। বুটিক হোটেল আসলে স্টার ক্যাটাগরির হোটেল হলেও হোটেলের লবি, রুম ডিজাইন, অতিথি আপ্যায়ন, খাবারের মান ও সেবা প্রদানে থাকে দেশীয় ও ঘরোয়া অনুভূতির আবহ, যাতে করে অতিথিরা বাড়ির বাইরে এসেও ঘরোয়া অনুভূতিটা পান—তারই সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে এমন হোটেলে।

‘ছাত্রজীবন থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে পড়ার সময় স্বপ্নপূরণের সাধ জাগে। অধিকাংশ বন্ধুই যখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে গেছে বা যাচ্ছে, অনেকে ক্যাডার সার্ভিস, সরকারি চাকরি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে, তখন আমি “নিজে একটা কিছু করব” বলে কাজ করে যাচ্ছি। শিখছি প্রতিনিয়ত।’ শুরুর ভাবনা এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন শাহেদ।

বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী মাসুদুর খান দেশে ব্যবসার জন্য নির্ভরযোগ্য একজন তরুণ উদ্যমী অংশীদার খুঁজছেন, এই খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন শাহেদ এজাজ আহমেদ। কিছুদিন পর দেশি-বিদেশি কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে নিয়ে দুজন একসঙ্গে ‘লাইফস্টাইল হোটেল বিডি লিমিটেড’ নামে একটি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান চালু করে হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইজির কাজে নেমে পড়লেন। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন মাসুদুর খান, আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহেদ এজাজ আহমেদ। ২০১৮ সালে শুরুর সময় ২২ জন কর্মী থাকলেও এখন তাঁদের কর্মী ৩৪ জন।

এই শিল্পে ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ওয়েবসাইট ‘ট্রিপ অ্যাডভাইজার’; শুরুতে বাংলাদেশে হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইজির অবস্থান ছিল ৪৭তম। কিন্তু সবাই একসঙ্গে পরিশ্রম করার সুবাদে স্বল্প সময়ে হোটেলটি পেয়েছে ৩য় স্থান। অর্জন করেছে ‘সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’। ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ আয়োজিত উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০১৮-তে নবীন উদ্যোক্তা হিসেবে হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইজি সম্মাননা পেয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ‘ট্রাভেল অ্যান্ড হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ড’ থেকে কাস্টমারদের মতামত ও নকশার ওপর ভিত্তি করে এই হোটেলকে ‘বেস্ট বুটিক হোটেল অব দ্য ইয়ার-২০১৯’ ঘোষণা করা হয়েছে।

শাহেদ স্বপ্ন দেখেন আমেরিকা-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ ‘লাইফস্টাইল হোটেল বিডি লিমিটেড’ সমগ্র বাংলাদেশের বড় বড় সব বিভাগীয় শহর এবং পর্যটন এলাকায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বে একদিন নামকরা চেইন হোটেল হিসেবে পরিচিতি পাবে।