স্যানিটারি ন্যাপকিন মাত্র এক টাকায়

স্যানিটারি ন্যাপকিন হাতে এক নারী।
স্যানিটারি ন্যাপকিন হাতে এক নারী।

স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের নতুন উদ্যোগের নাম ‘এক টাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন’। ফাউন্ডেশনের বাসন্তী গার্মেন্টসে স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন দীপ্তি চৌধুরী ও রাখিমা খাতুন। তাঁরা জানান, তিন লাখ স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদনের সব আয়োজন প্রস্তুত। এই তিন লাখ ন্যাপকিন বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে। কয়েকটি এতিমখানায় এই ন্যাপকিন বিতরণও করা হয়েছে।

সুবিধাবঞ্চিত, বাজার থেকে ন্যাপকিন কিনে ব্যবহার করার সামর্থ্য নেই, মূলত তাদের জন্যই স্যানিটারি ন্যাপকিনের এই প্রকল্প। রাজধানীর মিরপুরে বাসন্তী নামের কারখানায় গিয়ে দেখা গেল, ন্যাপকিনগুলো আলট্রা ভায়োলেট মেশিনে পরিশুদ্ধ হচ্ছে। পরে তা কেউ ভাঁজ করছেন, আবার কেউ কেউ প্যাকেট বানাচ্ছেন। পাঁচটা করে ন্যাপকিন প্যাকেটে ভরছেন কেউ কেউ।

এই ন্যাপকিন ব্যবহারে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি বা সমস্যা আছে কি না, তা জানার জন্য প্রথমে বাসন্তী গার্মেন্টসের স্বেচ্ছাসেবকেরাই তা ব্যবহার করেন। এই ন্যাপকিন ব্যবহার করা সুলতানা জান্নাত বললেন, ‘বাজারের অন্যান্য ন্যাপকিনের মতোই এগুলো। আর পাতলা হওয়ায় খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়।’

তিন লাখ ন্যাপকিন বিতরণের পর প্রতি প্যাকেট ন্যাপকিন বিক্রি করা হবে পাঁচ টাকায়। প্যাকেটের প্রতিটি ন্যাপকিনের দাম এক টাকা ধরে প্যাকেটটির দাম ধরা হয়েছে পাঁচ টাকা। ভবিষ্যতে এক কোটি ন্যাপকিন বিক্রির কথা রয়েছে। ভবিষ্যতে বস্তিগুলোয় স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে, যাতে কিশোরী ও নারীরা মাসিকের সময় সেখান থেকেই ন্যাপকিন সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারেন। 

প্রকল্পের অন্যতম পরিচালক দীপ্তি চৌধুরী বললেন, স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম রাখা হবে, যাতে যিনি নিচ্ছেন, তাঁর মনে না হয় যে তিনি বিনা মূল্যে নিচ্ছেন। আবার যিনি দিচ্ছেন, তিনিও যেন মনে না করেন যে তিনি বিনা মূল্যে দিচ্ছেন বা দান করছেন। জানালেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকার বিনিময়ে চার ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন।