দেয়ালে জুতা ঝুলিয়ে অভিনব প্রতিবাদ

নারী নির্যাতনের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অভিনব এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  ছবি: আয়োজনের উদ্যোক্তার ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে সংগৃহীত
নারী নির্যাতনের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অভিনব এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ছবি: আয়োজনের উদ্যোক্তার ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে সংগৃহীত

ভবনটির দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে অসংখ্য জুতা। নির্দিষ্ট করে বললে ৪৪০ জোড়া জুতা। কোনো প্রদর্শনী বা নিছক আনন্দ দেওয়ার জন্য জুতাগুলো এভাবে টাঙিয়ে রাখা হয়নি।

৪৪০ সংখ্যাটিও নিছক প্রতীকী নয়। গত বছর তুরস্কে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া নারীর সংখ্যা এটি। নিজের স্বজনদের হাতে মারা যাওয়া সেই নারীদের স্মরণে ও নারী নির্যাতনের ভয়াবহতা সবার সামনে তুলে ধরতে ভাহিত তুনা নামের তুরস্কের একজন শিল্পী ও গ্রাফিক ডিজাইনার এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া প্রত্যেক নারীর স্মরণে শহরের দুটি দেয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছেন এই জুতাগুলো। এর মধ্যেই তাঁর এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতো তুরস্কেও নারীদের ওপর চালানো পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়টি প্রায়ই আড়ালে থেকে যায়। ভাহিত তাই চেয়েছিলেন, বিষয়টির ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাই গভীরভাবে ভাবুক। সেই ভাবনা থেকেই ৪৪০ জোড়া কালো হিল জুতা সংগ্রহ করেন তিনি। হিল জুতা বেছে নিয়েছেন নারী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে, আর কালো রং বাছাই করেছেন শোকের প্রতীক হিসেবে।

ব্যতিক্রমী এই পদক্ষেপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাহিত বলেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম যারাই এই রাস্তা দিয়ে যাবে, তারা যেন এটা দেখে। এ কারণেই কোনো বদ্ধ জায়গার বদলে খোলা জায়গায় এটি করেছি। নারীদের নির্যাতন করে হত্যার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ। জুতাগুলো এভাবে ছয় মাস টাঙানো থাকবে।’