৮১ বছরেও ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি

ওয়াহিদা রেহমান
ওয়াহিদা রেহমান

তরুণ বয়সে ছিলেন বলিউডের পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন দুবার। ৮১ বছর বয়সী ভারতের ওয়াহিদা রেহমান অভিনয় ছেড়েছেন অনেক দিন আগে। কিন্তু তাই বলে ঘরে অলস বসে নেই তিনি। এই বয়সে এসে বেশির ভাগ মানুষই যেখানে অবসর যাপন করেন, ওয়াহিদা সেখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বনজঙ্গল, করছেন শখের ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি। 

ওয়াহিদার ছবি তোলার নেশা অনেক পুরোনো। ফটোগ্রাফির ওপর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছিল না, তবু শখের বশেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন ক্যামেরা। শুটিং স্পটেই ক্যামেরা নিয়ে যেতেন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছবি তুলে মনের খোরাক জোগাতেন। নিজের প্যাশন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওয়াহিদা বলেছেন, ‘আমি ছবি তুলতে সব সময়ই পছন্দ করতাম। বয়স যখন কম ছিল, তখন তো শুটিং স্পটেও ক্যামেরা নিয়ে যেতাম।’ 

শুরুর সেই ছবি তোলার নেশা এখন ঝুঁকে পড়েছে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির দিকে। দেশ-বিদেশের জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়ে বন্য প্রাণীর ছবি তোলার প্রতিই এখন যত ঝোঁক ওয়াহিদার। কীভাবে এদিকে এলেন, ওয়াহিদা বলছিলেন সে কথা, ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির জন্য ধৈর্য ও ভাগ্য—এই দুটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগে ফটোগ্রাফি শেখার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। তাই নিজে নিজেই টুকটাক চেষ্টা করতাম। কিন্তু অবসরের পর হাতে যখন অখণ্ড সময়, তখন মনোযোগ দিয়ে বিষয়টি শিখেছি।’ 

বন্য প্রাণীর ছবি তুলতে গিয়ে সুদূর কেনিয়া পর্যন্তও গিয়েছেন ওয়াহিদা, ‘ফটোগ্রাফি সব সময়ই আমার প্যাশনের জায়গা ছিল। হিমাংশু শেঠের কাছ থেকে সময় নিয়ে আমি ফটোগ্রাফি শিখেছি। এরপর আমরা আসাম-অরুণাচলসহ ভারতের অনেক জায়গা, তানজানিয়া, নামিবিয়া ও কেনিয়ার মাসাই মারাতে ছবি তুলতে গিয়েছি।’ 

শুধু ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি নয়, এই বয়সে এসে আরেকটি শখও পূরণ করতে চান ওয়াহিদা। সেটি হলো স্কুবা ডাইভিং। আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী টুইংকেল খান্নাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াহিদা তাঁর নতুন এই শখের কথা জানিয়েছেন। 

১৯৬৫ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র গাইড ও ১৯৬৮ সালে নীলকমল–এর জন্য ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন ওয়াহিদা। ২০১১ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মভূষণ’–এ ভূষিত হন তিনি। 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া