বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন বাবা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর টিএসসি ভবনের দেয়ালের একটি দেয়ালচিত্র ।  প্রথম আলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর টিএসসি ভবনের দেয়ালের একটি দেয়ালচিত্র । প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কাছে চা বিক্রি করেন এক বাবা৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল আন্দোলনে এই বাবাও একটি পরিচিত মুখ। তবে তিনি এর আগেও তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন। ধর্ষণের মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছেন এই বাবা।

প্রথম আলোর নীতি অনুযায়ী এই বাবার নাম প্রকাশ করা হলো না।

দেড় বছর আগে এই বাবার বাক্‌প্রতিবন্ধী মেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্ষণের শিকার হলে মেয়ের মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পরই অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এক বছর দুই মাস জেল খাটার পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান৷ আর ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মা-বাবাসহ পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন বাচ্চু মিয়ার ছেলে৷ এর চার দিনের মাথায় বাচ্চু মিয়ার মেজ ভাই আদালতে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মা-বাবাসহ পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন৷ দুই মামলায় অভিযোগ – রামদা, লাঠি ও বল্লম নিয়ে হামলা করেন ওই আসামিরা৷

অন্যদিকে ২ ডিসেম্বর নিজেদের ওপর ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা চেয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করে৷

এই বাবা বললেন, ‘ ফুটপাতে চা বিক্রি করে পরিবারের ভরণপোষণ করতে গিয়ে এমনিতেই হিমশিম খাই৷ তার ওপর মামলার খরচ চালাতে গিয়ে আমার পরিবারটা নিঃস্ব হয়ে গেছে৷ উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করল আসামিপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করার বিচার চাই৷’

যোগাযোগ করা হলে বাচ্চু মিয়ার ভাই বাহার মিয়া দাবি করেন, যে মামলা দুটি করেছেন, তাতে মিথ্যার কিছু নেই৷