নন্দিনী হাইজিন কর্নার

নন্দিনী হাইজিন কর্নার।  ছবি: সংগৃহীত
নন্দিনী হাইজিন কর্নার। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনা জেলা প্রশাসন জেলার ৩০৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (স্কুল ও মাদ্রাসা) শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেছে নন্দিনী হাইজিন কর্নার। কর্নারে একটি বাক্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্যানিটারি ন্যাপকিন, ফার্স্ট এইড, আয়রন বড়ি রাখা থাকে। এ ছাড়া একটি ঢাকনাওয়ালা ঝুড়িও রয়েছে এ কর্নারে।

 বরগুনা জেলা প্রশাসন মুজিব শতবর্ষ সামনে রেখে এই কর্মসূচি শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের ব্যয়ে এ কর্নার পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকেও এই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে একজন ছাত্রী (নন্দিনী গার্ল), একজন ছাত্র (নোবেল বয়), একজন শিক্ষক, প্রধান শিক্ষকসহ ১ হাজার ২২০ জনকে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষিতরা বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের সহায়তায়।

এ কর্মসূচি অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বর থেকে চলতি জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বরগুনা জেলা প্রশাসন ‘সার্ভে অন পার্সোনাল মিনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি জরিপ করে। এতে স্কুল-মাদ্রাসার ৩৮০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ জরিপ বলছে, মাসিকের সময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮১ শতাংশ ও দাখিল মাদ্রাসার ৮৩ শতাংশ ছাত্রী পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে। এই সময়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৪ শতাংশ ও মাদ্রাসার ৮৬ শতাংশ ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকে।

২০১৪ সালের মাসিক নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেইজলাইন সার্ভে-২০১৪’ জরিপেও দেখা যায়, দেশের ৮৬ শতাংশ মেয়ে মাসিকের সময় পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে এবং ৪০ শতাংশ ছাত্রী এ সময় বিদ্যালয়ে আসে না।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বললেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজির সুস্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষা, লিঙ্গসমতা অর্জন, শান্তি-ন্যায়বিচার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নন্দিনী হাইজিন কর্মসূচি সহায়তা করবে।

এ কর্মসূচির আওতায় সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা, লিফলেট বিতরণ, পথনাটকসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মাসিক নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।