গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর

অতিশি মারলেনা।
অতিশি মারলেনা।

ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পাটি (এএপি) টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়। এই জয় ছিনিয়ে আনার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন  অতিশি মারলেনা। রাজনীতিকের পাশাপাশি তিনি একজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষাসংস্কারক।

দিল্লির সরকারি স্কুলব্যবস্থা ঠিক করার মতো দুঃসাধ্য এক কাজ করেছেন তিনি।

চলতি বিধানসভা নির্বাচনে অতিশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দক্ষিণ দিল্লির কালকাজি কেন্দ্র থেকে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি হারিয়ে দেন বিজেপির প্রার্থী ধর্মবীর সিংহকে। জয়ের ঘোষণার পর অতিশি বলেন, তাঁর দল বিশেষভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে ধরনের কাজ করেছে, এর স্বীকৃতি ভোটাররা দিয়েছেন।

মাসিক এক রুপি সম্মানীর বিনিময়ে দিল্লি সরকারের জন্য দীর্ঘদিন অতিশি কাজ করেছেন। রাজধানীর শিক্ষাব্যবস্থায় তাঁর বড় অবদান ‘মিশন বুনিয়াদ’। এর আওতায় তিন মাসের প্রচারাভিযানে তৃতীয় থেকে থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়তে ও লেখতে পারা এবং গাণিতিক দক্ষতার বিষয়টির নিশ্চিত করা হয়েছে।

মৃদুভাষী অতিশি মারলেনার পরনে থাকে সাদামাটা পোশাক। বরাবরই তিনি আগ্রহ পেতেন সরকারি নীতিনির্ধারণের বিষয়গুলোয়। তাই তো উচ্চশিক্ষার পর বিদেশে না থেকে ভারতেই চলে আসেন তিনি।

অতিশির জন্ম ১৯৮১ সালে, দিল্লিতে। তাঁর মা–বাবা চেয়েছিলেন প্রিয় নেতা কার্ল মার্ক্স ও ভ্লাদিমির লেনিনের নামের ছোঁয়া থাকুক মেয়ের নামে। সে অনুযায়ীই মার্ক্স ও লেনিনের নামের অংশ মিলিয়ে ‘মারলেনা’। অতিশি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। স্কলারশিপ পেয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে নিজেই রোডস স্কলারে সম্মানিত হন।  দিল্লির বিগত বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৫ সালে এএপির দলীয় খসড়া ইশতেহার লেখায় তিনি সম্পৃক্তও ছিলেন।