খেলার জগতে বৈষম্য অনেক

খেলার মাঠে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীর সাফল্য পুরুষের চেয়ে বেশি। নারী খেলোয়াড়ের প্রাপ্তি কিন্তু যৎসামান্য। আজও তাঁরা ব্যাপক বেতনবৈষম্যের শিকার। খেলার সুযোগ কম। আর্থিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানো আর হয়ে উঠছে না।

ক্রিকেটে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি, ফুটবলে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬—মেয়েদের সাফল্যের ঝুলি অনেকবার ভরে উঠেছে। সাফল্যের ঐতিহ্য আছে পাকিস্তান আমল থেকেই। অথচ সম্মানী, নেতৃত্বসহ নানা বিষয়ে বাধা আর বৈষম্য আছে। ফলে মেয়েদের খেলাকে পেশা হিসেবে নেওয়া কমছে।

সুফিয়া খাতুন ১৯৬৮ সালে ঢাকায় পাকিস্তান অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তখন টাকা-পয়সা কিছুই পেতাম না। এখনো মেয়েরা যা পায়, ছেলেদের তুলনায় সেটা কিছুই নয়।’ নারী দিবসের অঙ্গীকারের আবহে এই বৈষম্য তাঁকে খুব পীড়া দেয়।

তবে পুরুষ ক্রিকেটের প্রচার, উন্মাদনা, পৃষ্ঠপোষকের আগ্রহ—সবই বেশি। তাই শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপীই নারী ক্রিকেটারদের বেতন কম।  ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় নারী ক্রিকেটার মেগ ল্যানিং ও অ্যালিসিয়া হিলি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে বাৎসরিক বেতন পান ১ কোটি ৯৪ হাজার টাকা। ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নারী ক্রিকেটার হারমনপ্রীত কাউরের বেতন বছরে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা। ইংল্যান্ডের সারা টেলরের বেতন ৫৩ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদের বছরে বেতন ৬ লাখ টাকা। তবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা ভারতের মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের মেয়েরা বেতনের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে।

জাতীয় দলের ‘এ-প্লাস’ পুরুষ ক্রিকেটারকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ( বিসিবি) মাসে ৪ লাখ টাকা বেতন দেয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিটি টেস্ট খেলার জন্যতিনি ম্যাচ ফি পান ৬ লাখ টাকা। ওয়ানডের ফি ৩ লাখ আর টি-টোয়েন্টির ২ লাখ টাকা।উপরি আছে বিসিবির বোনাস।

ঢাকা লিগে খেলে প্রথম সারির একজন খেলোয়াড় বছরে ৪০-৫০ লাখ টাকা পান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) গতবার ‘এ-প্লাস’ ক্রিকেটাররা পেয়েছেন ৫০-৫৫ লাখ টাকা করে। ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেললে টাকার অঙ্কটা ১ কোটিও হয়ে যায়।

জাতীয় ক্রিকেট লিগে ম্যাচ ফি ৬০ হাজার টাকা। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বড় দৈর্ঘ্যের (বিসিএল) ক্রিকেটেও টাকার অঙ্কটা একই রকম। এভাবে প্রথম সারির পুরুষ খেলোয়াড় বছরে সর্বোচ্চ তিন কোটি টাকাও আয় করতে পারেন। তার ওপর পণ্যের বিজ্ঞাপনেও মডেল বা শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তাঁরা বড় আয় করার সুযোগ পান বেশি।

এবার দেখা যাক, প্রথম সারির নারী ক্রিকেটাররা কী পান। ২০১৭ সালে জাতীয় নারী দলের ‘এ’ শ্রেণির ক্রিকেটারদের বিসিবি মাসে বেতন দিত ৩০ হাজার টাকা। ‘বি’ ও ‘সি’ বিভাগের নারীরা পেতেন যথাক্রমে ২০ ও ১০ হাজার টাকা করে।

ছেলেরা আজও এশিয়া কাপ  জিততে পারেনি।২০১৮ সালে মেয়েরা এশিয়া কাপ (টি-টোয়েন্টি) জিতে ইতিহাস গড়েন। তারপর তাঁদের বেতন ২০ হাজার টাকা করে বাড়ে। তিন-চার বছর আগেও নারী ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি পেতেন না। ওয়ানডে ম্যাচে মেয়েরা এখন পান ১০০ ডলার, অর্থাৎ ৯ হাজার টাকার কম। ছেলেদের ফি দাঁড়াচ্ছে এর প্রায় ৩৫ গুণ।

বাংলাদেশ নারী ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরাও প্রায় ছেলেদের সমানই পরিশ্রম করি। কিন্তু বেতনের দিক থেকে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। ছেলেরা তৃতীয় গ্রেডে যেটা পায়, মেয়েরা সর্বোচ্চ গ্রেডেও সেটার চেয়ে অনেক কম পায়।’

রুমানা বলেন, মেয়েরা আরও ভালো করলে হয়তো সামনে পারিশ্রমিক বাড়বে। তবে ফল পেতে হলে গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করতে হয়। যদি নীতি হয়, আগে ফল তারপর পরিচর্যা, তা হলে ফল আনা কঠিন। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমাদের একটা রানিং শু কিনতেই ১২-১৩ হাজার টাকা লাগে। দুটি কিনলে কারও কারও প্রায় ১ মাসের বেতন চলে যায়।’

মেয়েদের ম্যাচ খেলার সুযোগও কম। রুমানা ২০১৯ সালে দুটি ওয়ানডে আর তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। অথচ একই বছরে একজন শীর্ষস্থানীয় পুরুষ ক্রিকেটার টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রায় ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন।

বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েদের সম–অধিকারের কথা আমরা মুখে বললেও বাস্তবে সব ক্ষেত্রেই এর ব্যত্যয় দেখা যায়। যেহেতু ছেলে ও মেয়েদের বেতন পার্থক্যটা অনেক বেশি। আমরা আশা করছি খুব অল্প দিনের মধ্যেই যতটুকু সম্ভব সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে বোর্ড থেকে একটা ঘোষণা পাব।’ মেয়েদের খেলায় স্পনসর কম আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত দুই বছরে মেয়েদের পারফরম্যান্স ভালো, মেয়েরা এশিয়া কাপ জিতেছে, তাই এখন কিছু স্পনসরের আগ্রহ বেড়েছে।

অন্যদিকে জাতীয় দলের একজন পুরুষ ফুটবলার বছরে ৮-১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। মেয়েরা কোনো কোনো বছর ম্যাচ খেলার সুযোগই পান না। গড়ে বছরে দুই-চারটি ম্যাচ জোটে। ফলাফলের চিত্রটি কিন্তু একেবারে উল্টো।

২০১০ সালে দক্ষিণ এশীয় গেমসে সোনা জেতার পর ফুটবলে ছেলেদের আর সাফল্য নেই। অথচ গত চার বছরে মেয়েরা বয়সভিত্তিক পাঁচটি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বা গ্রুপসেরা হয়েছেন। গত বছর ছেলেরা ফিফার মূল্যায়নে (র‌্যাঙ্কিং) এশিয়ায় ৪১ নম্বরেছিলেন। একই বছরে মেয়েরা অনূর্ধ্ব-১৬ বিভাগে এশিয়ার সেরা ৮-এ ওঠেন। বলা যায়, ফুটবলের মাঠে মেয়েরাই এগিয়ে।

সবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নারী ফুটবলারদের বেতন কাঠামো করেছে। এখন তিনটি শ্রেণিতে ৩৬ জন নারী বেতন পাচ্ছেন। ‘এ’ শ্রেণির বেতন মাসে ১০ হাজার, ‘বি’ শ্রেণির ৮ হাজার আর ‘সি’শ্রেণির ৬ হাজার টাকা।

কোনো ক্লাবের হয়ে খেললে একজন শীর্ষ পুরুষ ফুটবলার বছরে ৫০-৬০ লাখ টাকা পান। ছেলেদের লিগ প্রতিবছর হয়, কিন্তু নারী লিগ বন্ধ ছিল ছয় বছর। এবার চালু হয়েছে। এই লিগে তিন-চার লাখ টাকা করে পাচ্ছেন জাতীয় দলের কয়েকজন নারী খেলোয়াড়। আরও কয়েকজন দুই-এক লাখ টাকা করে পাচ্ছেন। বড় একটা অংশ কিছুই পাবে না।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম বলছেন, ‘৩৬ জন মেয়ের বেতন বাবদ মাসে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। বছরে খরচ ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রায় প্রতি মাসে খাওয়া, সরঞ্জাম, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার খরচ অনেক। আরও বাড়াতে পারলে ভালো হতো।’ স্পনসর থেকে নারী ফুটবলের জন্য বছরে ৪ কোটি টাকা পায় বাফুফে। ঢাকা ব্যাংক, ইউনিসেফ আর্থিক সহায়তা করছে মেয়েদের ফুটবলে। এই টাকার পুরোটাই মেয়েদের জন্য খরচ হয় বলে তিনি জানান।

মেয়েদের প্রাপ্তি

মেয়েদের প্রাপ্তি বলতে বড় প্রতিযোগিতায় পদক জিতলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক পুরস্কার বা প্রণোদনা। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬চ্যাম্পিয়ন দলের ২৩ জন মেয়েকে ১০ লাখ টাকা করে দিয়েছেন। গত বছর বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মেয়েরা ৩ লাখ, আরও দুবার ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একজন নারী খেলোয়াড় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। এই টাকায় অনেকের ঘরবাড়ি মেরামত করা হয়েছে। ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়েদের কল্যাণে তাঁদের এলাকায় বিদ্যুৎ গেছে।

২০১৬ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসে সোনাজয়ী তিন ক্রীড়াবিদকে সরকার ফ্ল্যাট দিয়েছে। দুই নারীখেলোয়াড় মাবিয়া আক্তার ও মাহফুজা খাতুন সেই ফ্ল্যাট পেয়েছেন। তবে বেশির ভাগ নারী খেলোয়াড়ই বলার মতো কিছু পান না। তাঁরা হয়তো খেলার সুবাদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার, জেল, বিজেএমসি ইত্যাদি সংস্থায় একটা চাকরি পান। বিদেশ গেলে ভাতা পান। আর সঞ্চয় বলতে থাকে কিছু পদক।

বাংলাদেশ আনসারের সাবেক খেলোয়াড় রেহানা পারভীনের মতে,এখন কম বয়সে অনেক মেয়ে খেলোয়াড় আসছে। প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে কয়েক লাখ ছাত্রী অংশ নিয়েছে। তবে জাতীয় স্তরে নারী খেলোয়াড় কমছে। মানসম্মত খেলোয়াড়েরও অভাব।

একসময়ের জমজমাট অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক এখন ভরেই না। দেশের সাবেক দ্রুততম মানবী নাজমুন নাহার (বিউটি) বলেন, ‘জীবিকার নিশ্চয়তা না থাকায় এই খেলায় মেয়েদের কোনো আগ্রহ নেই।’ তাঁর কথায়, মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা এখন খেলায় আসেন খুব কম। উচ্চবিত্তরা আসেন না বললেই চলে। খেলায় আসা মেয়েদের ৯০ ভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের।

আরও বাধা ও বৈষম্য

২০১৮ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন এক নারী ভারোত্তলন খেলোয়াড়। ঘরোয়া আলাপে যৌন হয়রানির কথা অনেক শোনা যায়। তবে অনেক নারীই এ নিয়ে আওয়াজ তোলেন না।

বিপণন-মূল্য কম বলে মেয়েদের খেলায় পৃষ্ঠপোষক বা স্পনসরের আগ্রহ কম। আন্তর্জাতিক স্তরে ভালো করার মতো নারী খেলোয়াড়ও কম। বেশির ভাগ সময় নারী দলে ম্যানেজার হয়ে যান পুরুষ।

দেশে নারী ক্রীড়া সংগঠক হাতেগোনা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চার্টারে আছে, ফেডারেশনগুলোর কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারী থাকতে হবে। সেটা মানা হয় না। সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কামরুন নাহার (ডানা) প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর কমিটিতে নারীর যোগ্য স্থানের জন্য অনেক লড়াই করেও তেমন ফল পাইনি। নারীর প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হচ্ছে না।’

১৯৮১ জাকার্তায় চতুর্থ এশিয়ান জুডোতে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন কামরুন নাহার (হীরু)।  আন্তর্জাতিক নারী ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের সেই প্রথম পদক জেতা। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের রীতিমতো যুদ্ধ করে নেতৃত্বে আসতে হয়। তাদের সাফল্যের প্রচারও নেই। মেয়ে বলে আসলে গুরুত্ব দেওয়া হয় কম।’

নারী খেলোয়াড়দের ঐতিহ্যের শুরু পাকিস্তান আমল থেকেই। পাকিস্তান অলিম্পিকে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের পুরুষ অ্যাথলেটদের চেয়ে অনেক বেশি সফল ছিলেন নারী খেলোয়াড়েরা। ১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে ৮০ মিটার হার্ডলসে সোনা জেতেন লুৎফুন নেছা হক। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৫৫ সালে হাইজাম্পে সোনা জিতেছিলেন গেন্ডারিয়ার শশীভূষণ লেনের মেয়ে জিনাত আহমেদ।

ঢাকায় ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান অলিম্পিকে সোনা জেতেন রওশন আখতার (৮০ মি. হার্ডলস), ইশরাত আরা (হাইজাম্প), সুলতানা আহমেদ (লংজাম্প) ও সুফিয়া খাতুন (১০০ মি. স্প্রিন্ট)। ১৬ বার জাতীয় টেনিসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জোবেরা রহমান গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠান। রানী হামিদ চার সন্তান হওয়ার পর দাবা প্রতিযোগিতায় আসেন। তিনি আশির দশকে তিনবার ‘ব্রিটিশ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ’ জেতেন।

চল্লিশের দশকের খেলোয়াড় রাবেয়া খাতুন তাঁর আত্মজীবনী নিজেকে হারায়ে খুঁজিতে লিখেছেন, সে সময়ে তীব্র সামাজিক অনুশাসন ছিল। তবু তাঁরা মেয়েদের মাঠে আনতে চেষ্টা করেছেন। ক্রমে লুৎফুন নেছা হক, কাজী জাহেদা, কাজী নাসিমা, কাজী শামীমা, ডলি ক্রুজ আর সুলতানা আহমেদ খুকীসহ অনেকে খেলায় আসেন।

বাংলাদেশে এ যাবৎ দুজন প্রতিবন্ধীসহ ৩৯ জন নারী ক্রীড়াবিদ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। তবে সাবেক অ্যাথলেট শামীমা সাত্তার বলেন, ‘মেয়েরা পুরস্কার পেয়েছে, অনেক এগিয়েছে, সবই ঠিক। কিন্তু খেলার জগতে নারী আজও নিরাপত্তাহীন। আর্থিক বৈষম্যের কথা না বলাই ভালো।’