অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছে

নুসরাত ইয়াসমিন।  ছবি: সংগৃহীত
নুসরাত ইয়াসমিন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট  নুসরাত ইয়াসমিন। এই পেশায় বাংলাদেশের প্রথম নারী তিনি।

নুসরাত বললেন, ফরেনসিক ল্যাবে সারা দেশের ধর্ষণ, অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরণ, পিতৃত্ব নির্ণয়, হত্যা, খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আলামত সংরক্ষণে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ অন্যান্য দায়িত্ব তো আছেই। সকাল ৯টা- বিকেল ৫টা বা শুক্র-শনিবার বলতে কাজের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই।

নুসরাত বললেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির আলামত মিলে গেলে খুশি হই, অন্তত একজন অভিযুক্তকে উপযুক্ত সাজার আওতায় আনা যাবে বলে।’

দেশে বসেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি ভারত, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন নুসরাত।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করা নুসরাত এফবিআই প্রদত্ত ডিএনএ ডেটাবেইস ‘কোডিস’-এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একমাত্র নারী।

 নুসরাত বললেন, ‘ আমাকে দেখেই অন্যরা এমনকি শিশুরাও ডিএনএ অ্যানালিস্ট হতে উৎসাহিত হচ্ছে। ’ নুসরাত বললেন, ইঞ্জিনিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম,নিজের মা-বাবা এবং শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন।

নুসরাত পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে। বোন নাদিরা ইয়াসমিন ব্যাংকে কর্মরত।

নুসরাত কর্মজীবনে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি চকবাজার অগ্নি দুর্ঘটনায় মৃতদেহ শনাক্তকরণ, হোলি আর্টিজানের ঘটনায় জঙ্গি সন্দেহভাজন ৬ জনের লাশ শনাক্তকরণসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ পেশায় আসার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শরীফ  আখতারুজ্জামানের অবদানের কথা স্মরণ করলেন।    

নুসরাতের বাবা কাজী ইদ্রিস আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ফলিত রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। মা নাসরিন বেগম বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।