নারীর হাতে তৈরি হোক করোনার প্রতিষেধক

মেরিল্যান্ডে চার সদস্যের এই নারী চিকিৎসাবিজ্ঞানী কোভিড–১৯–এর জন্য ভ্যাকসিন বানাচ্ছেন।  ছবি: টুইটার
মেরিল্যান্ডে চার সদস্যের এই নারী চিকিৎসাবিজ্ঞানী কোভিড–১৯–এর জন্য ভ্যাকসিন বানাচ্ছেন। ছবি: টুইটার

সারা বিশ্বের চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মাথায় ঘুরেফিরে এখন একটিই চিন্তা, কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক। মেরিল্যান্ডের একদল নারী চিকিৎসক নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এমন এক ওষুধ বানাতে, যা দিয়ে বিশ্বকে এই ভয়ংকর মহামারি থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে।

চারজনের সেই নারী দলের নেতা নীতা প্যাটেল। সবাই যখন গালে হাত দিয়ে ভাবছে, সে কী, দলের সবাই নারী। একজনও পুরুষ নেই? এই নারীরাই বানাবেন কোভিড-১৯–এর ভ্যাকসিন? অথচ এই নারী জানালেন, বিজ্ঞানই বলছে, পুরুষের চেয়ে নারী বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করায় বেশি পটু। তাই ল্যাবরেটরিতে নারীরাই বেশি মানানসই।

আর যদি সত্যি সত্যিই আপনারা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেন, তাহলে কি বাবা–মায়েরা তাঁদের কন্যাকে বিজ্ঞানী বানাতে আরও বেশি আগ্রহী হবেন? এবিসি সেভেনের সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া স্যানচেজের এমন প্রশ্নের উত্তরে নীতা বলেন, ‘হয়তো। অত কিছু ভাবছি না। আপাতত ভ্যাকসিনটা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি চাই নারীর হাতে তৈরি হোক করোনার প্রতিষেধক। বিশ্বের জন্য সেটি একটা দারুণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’ 

গবেষণাটি নোভাভ্যাক্স নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক জর্জ মার্ক বলেন, ‘কোভিড নাইনটিন ভাইরাসের কিছু চোখা স্পাইক আছে। আমাদের কাজ হবে ওই স্পাইকগুলোকে অকার্যকর করা। তাহলেই এটি কর্মক্ষমতা হারাবে। ভ্যাকসিনটি আপাতত দ্বিতীয় ধাপে প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখানে সফল হলে আমরা পরবর্তী সময়ে মানুষের ওপর পরীক্ষা করব।’ ১৮ মাসের ভেতর কাজ শেষ করতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সূত্র: এবিসি সেভেন