দুঃসময়ে দীপ্ত তারুণ্য

>কেউ পর্যটক, কেউ সামাজিক উদ্যোক্তা, কেউবা শিক্ষক, চিকিৎসক বা কার্টুনিস্ট। তাঁরা সবাই করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে সোচ্চার হয়েছেন, কেউ দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে, কেউবা কাজ করেছেন সচেতনতার। এমন পাঁচজনকে নিয়ে এবারের বিশেষ আয়োজন।
আমাল ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকেরা ছুটছেন ত্রাণ নিয়ে। ছবি: সংগৃহীত
আমাল ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকেরা ছুটছেন ত্রাণ নিয়ে। ছবি: সংগৃহীত

আশা–জাগানিয়া ইশরাত : সজীব মিয়া

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফিরে এলেন ইশরাত করিম। তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনেকের কানাঘুষা, নিশ্চয় বড় কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রস্তাবে দেশে ফিরেছেন! কিন্তু মাস পেরোতেই ইশরাতকে দেখা গেল মিরপুরের একটি বস্তিতে, উদ্যোগী হয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায়। কয়েক মাস পর যখন উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ শুরু করলেন, তখন পরিচিত অনেকের মতো তাঁর পরিবারের সদস্যদের যেন আশাভঙ্গ হলো, সংশয়ও প্রকাশ করলেন কেউ কেউ।

তবে সে সংশয় দিনে দিনে অমূলক প্রমাণ করেছেন ইশরাত করিম। ২০১৫ সালে যে আমাল ফাউন্ডেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস এবার তাঁকে এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী ৩০ জনের তালিকায় সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ইশরাত করিম
ইশরাত করিম

ইশরাত করিম বলেন, ‘শুরুর দিনগুলোতে আমি যে যোগ্য, প্রতিনিয়ত তা আমাকে প্রমাণ করতে হয়েছে। ফোর্বস–এর স্বীকৃতি আমার ওপর বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে এসেছে। সে দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে চাই।’

ইশরাত বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ফিন্যান্সে স্নাতক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসা নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন।

১৮ জন স্থায়ী কর্মী এবং সারা দেশে প্রায় ৪০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ইশরাতের আমাল ফাউন্ডেশন কাজকে এগিয়ে নিচ্ছে। যাঁরা প্রয়াস দেখিয়েছেন নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার। শুধু তাই নয়, দেশে যেকোনো দুর্যোগের সময় হাজির হয় অসহায় মানুষকে সহায়তা করতেও। যেমন করোনাকালে ৬ হাজার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইশরাতের আমাল ফাউন্ডেশন। তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই দেশে কাজ করে যাচ্ছে আমাল ফাউন্ডেশন। ৬ হাজার মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য দেওয়া ছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য হাত ধোয়ার বেসিন ও ঢাকার রাস্তার প্রাণীদের খাবার সরবরাহ করেছি আমরা।’

এই ত্রাণ বিতরণের কাজটি রমজান মাসজুড়েই অব্যাহত ছিল বলে জানালেন ইশরাত। এ ছাড়া ইফতারি, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের পোশাক বিতরণের মতো উদ্যোগও নিয়েছিল তাঁর সংগঠন।

আরবি শব্দ আমাল। ইশরাত করিম বলেন, ‘যার অর্থ আশা।’ নামের মতোই তিনি যেন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন অসহায় মানুষের ‘আশা’।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর দিকে জনবহুল স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছেন নাসিরুল আলম মণ্ডল
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর দিকে জনবহুল স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছেন নাসিরুল আলম মণ্ডল

উত্তরবঙ্গে স্বেচ্ছাসেবায় নাসিরুল 

২০১৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয়েছিল নাসিরুল আলম মণ্ডলকে নিয়ে। সেটির শিরোনাম ছিল, ‘আপাদমস্তক স্বেচ্ছাসেবক’। জাতীয় ও স্থানীয় অসংখ্য সংগঠনের হয়ে তিনি নিজ জেলা লালমনিরহাট তো বটেই, কাজ করেন পুরো উত্তরবঙ্গে।

প্রতিবেদনটির কথা উঠতেই নাসিরুল আলম মণ্ডল বললেন, ‘এরপর থেকে তো মধুর যন্ত্রণা আরও বেড়ে গেছে। প্রতিবেদনটি আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। এখন বেশি সংগঠন যোগাযোগ করে। আমিও আগ্রহ নিয়ে দায়িত্ব পালন করি।’

স্বেচ্ছাসেবক নাসিরুল আলম মণ্ডলের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায়। পেশায় তিনি শিক্ষক, পড়ান কালীগঞ্জের দলগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে। তাঁর স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ওঠার শুরু নিজ গ্রামেই, স্কুলে পড়ার সময়। তবে ২০০৩ সালে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ততা। নিজেদের গড়া সংগঠন ‘দলগ্রাম ক্ল্যাসিক ক্লাব’থেকে ধীরে ধীরে যুক্ত হয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় সংগঠনের কাজের সঙ্গে। শুরুর দিকে নিজে আগ্রহ নিয়ে যোগাযোগ করলেও এখন অনেক সংগঠন খুঁজে নেয় নাসিরুলকে।

করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকলে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ব্যাংক, মসজিদ, গণপরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ করেছেন। লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলা সদর হাসপাতালে বিতরণ করেছেন মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পাঠানো পিপিই। এরপর ত্রাণ বিতরণের কাজেও যুক্ত হন। নাসিরুল আলম মণ্ডল বলেন, ‘আমি ফেসবুক গ্রুপভিত্তিক সংগঠন আমরা খাঁটি গরিবের অ্যাডমিন। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমরা সাংগঠনিকভাবে যুক্ত হয়ে পার্বত্য এলাকাতে কাজ করেছি। এ ছাড়া বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে বিতরণ কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব পালন করছি।’

এ ছাড়া ঘুড্ডি ফাউন্ডেশনের হয়েও লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে ত্রাণ নিয়ে গেছেন নাসিরুল আলম। নাসিরুল আলম মণ্ডল বলেন, ‘স্কুল বন্ধ। ক্লাস নিতে হচ্ছে না। তাই পুরো সময়টাই এখন বিভিন্ন সংগঠনের হয়ে কাজ করতে পারছি। এই কাজগুলো ভালো লাগা থেকেই করি।’

ভ্রমণকন্যাদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেছে দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে। ছবি: সংগৃহীত
ভ্রমণকন্যাদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেছে দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে। ছবি: সংগৃহীত

দুর্গম এলাকার মানুষের জন্য : কবীর হোসাইন

‘হঠাৎ আজমান মামার ফোন কল পেলাম। সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তিনি জানালেন, তাঁদের এলাকার বেশ কিছু পরিবার খুব বিপদে আছে। আমরা কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা করতে পারি কি না।’ সাকিয়া হক একটুকু বলেই জানালেন, ফোন কলটি তাঁকে ভাবিয়ে তোলে। সেদিনই কথা বললেন সংগঠনের অন্যদের সঙ্গে।

সাকিয়া হক একজন চিকিৎসক। বর্তমানে মেডিকেল অফিসার হিসেবে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। সুনামগঞ্জের ওই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ‘কিছু করা’র দাবি জানিয়ে ফোন কল আসার যোগসূত্রটা ‘ট্রেভেলেটস অব বাংলাদেশ-ভ্রমণকন্যা’। বাংলাদেশের নারীদের ভ্রমণের উদ্যোগ, যার ৫০ হাজারের বেশি সদস্য ভ্রমণের নেশায় যুক্ত হয়েছেন ফেসবুক গ্রুপে। তাঁর ঘুরে বেড়ান বাংলাদেশের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। এই সংগঠনেরই অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাকিয়া হক।

সাকিয়া হক
সাকিয়া হক

সংগঠনটির সদস্যরা স্রেফ ‘গেলাম, ঘুরলাম, ফিরে এলাম’—এই প্রথাগত ধারণায় নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেননি। যৌথ ভ্রমণকে তাঁরা বদলে নিয়েছেন সমাজ বদলের একরকম আন্দোলনে। অশিক্ষা, বাল্যবিবাহ, নারী অধিকার—জনগুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বছরজুড়ে সংগঠনটির ভ্রমণগন্তব্য হয়ে থাকে দেশের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন স্থান এবং দুর্গম পর্যটন অঞ্চলগুলো। সেসব অঞ্চলের স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে গড়ে ওঠে এক আত্মিক সম্পর্ক। এমনই একজন ‘আজমান মামা’।

নিজেদের পকেট হাতড়ে যে সংগ্রহ দাঁড়ায়, তা দিয়ে বৃহৎ পরিসরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়; এটা বুঝতে পেরে সংগঠনটি আহ্বান জানায় সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে। সংগৃহীত অর্থ যথা দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয় আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের হাতে। ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশের অন্য স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী কেনা ও প্যাকেটজাত করে পৌঁছে দেন অসহায় পরিবারের হাতে। সুনামগঞ্জ, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বান্দরবানের রুমা প্রভৃতি অঞ্চলে ইতিমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দেড় লাখের বেশি টাকার ত্রাণসামগ্রী।

সাকিয়া বলেন, ‘এই করোনাকালে সরকার, ব্যক্তি কিংবা সংগঠন যে যেভাবে পারছেন, দাঁড়াচ্ছেন মানুষের পাশে। কিন্তু একেবারে দুর্গম এবং প্রান্তিক অনেক পরিবারই ত্রাণসহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশের এই উদ্যোগ তাঁদের জন্য।’

কাজী আসমা আজমেরী নিজের উদ্যোগে দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে
কাজী আসমা আজমেরী নিজের উদ্যোগে দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে

ঘরে বসে মানুষের পাশে আসমা : মাহফুজ রহমান

পাখির মতো মন কাজী আসমা আজমেরীর। এক জায়গায় একটানা বেশিক্ষণ বসে থাকা তাঁর ধাতে নেই। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দুনিয়ার ১১৫টি দেশ ঘুরেছেন। অথচ আড়াই মাসের মতো হয়ে গেল আসমা বসে আছেন খুলনা শহরের রায়পাড়ার পৈতৃক বাড়িতে। তবে আসমা ঠিক বসেও নেই; সঙ্গরোধ মেনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। রোজ চাল-ডাল-তেল-নুন তুলে দিচ্ছেন লকডাউনে বিপদগ্রস্ত এলাকাবাসীর হাতে। এর শুরু করেছিলেন বৈশাখের পয়লা দিন থেকে।

ফোনে এ নিয়ে কথা হচ্ছিল আসমার সঙ্গে। ছেলেবেলার কথা স্মরণ করে বলছিলেন, ‘মা তো আগে বলতেন, বৈশাখের প্রথম দিনে যা করবে, তা সারা বছরই ঘটবে। তাই পয়লা বৈশাখে ভালো কাজ কোরো।’ আসমা এবার মায়ের কথা রেখেছেন, ‘পয়লা বৈশাখে আমার এলাকার ৩২৩টি পরিবারের মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিই। তাতে মোট ১ হাজার ৩৮৬ জনের খাবারের ব্যবস্থা হয়েছিল।’

আসমার দেওয়া উপহারের প্যাকেটে ছিল চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, সাবান, তেল ও আটা। এখনো এগুলোই দিচ্ছেন। তবে স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যাটি কমে এসেছে। কারণ, এক মাসের বেশি সময় ধরে রোজ খাদ্যপণ্য দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হলে যে রাজার ভান্ডারও খালি হয়ে যাবে। এর সমাধান বের করেছেন আসমা। তাঁর ভাষায়, ‘প্রথম দিনের পর থেকে আমরা আরও সাংগঠনিকভাবে কাজ করছি। প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিতদের কাছ থেকে অসহায় মানুষের নাম-ঠিকানা নিই। তা ছাড়া পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যেও তো অনেকে অসহায়। মোটকথা সত্যিকার অর্থে অসহায় মানুষদের খুঁজে বের করে খাবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সংখ্যাটি কম হলেও এলাকার সব অসহায় মানুষ যেন কিছু হলেও পায়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’

এ কাজে আসমাকে শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করছে একটি কিশোর-তরুণদল। অধিকাংশই আসমাদের বাড়ির বাসিন্দা। তাঁদের নামগুলোও উল্লেখ করা উচিত—সুমন, হৃতিক, উপল, সজীব, জিসান, সুখিমণি ও রফিকুল। এদের বেশির ভাগই নাকি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলের অপেক্ষায় ছিল। তবে আসমা আর্থিকভাবে সহায়তা নিয়েছেন সামান্যই। চাননি কারও কাছে, তবে কেউ যেচে পাশে দাঁড়ালে ‘না’-ও করেননি। আসমা বলছিলেন, ‘আমি আমার জমানো টাকা থেকেই কাজটি করছি। জমানো টাকা ফুরিয়ে আসছে। তাই কেউ পাশে দাঁড়াতে চাইলে খুশিই হব।’

আসমার খুশি হওয়া মানে অসহায় কিছু মানুষেরও মঙ্গল। এ কদিনের অভিজ্ঞতায় আসমা বললেন, ‘সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছেন সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে না-পারা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরা। এমন কিছু মানুষের দেখা আমি পেয়েছি, যাঁরা না পারছেন বলতে, না পারছেন সইতে।’

এই দুঃসময়েও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আসমা। ঘরবন্দী সময়ে মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে দেশ–বিদেশ ঘোরার চেয়ে কম আনন্দ পাননি কাজী আসমা আজমেরী।