আয়েশা সিদ্দিকা, সহকারী পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মহানগর

আয়েশা সিদ্দিকা
আয়েশা সিদ্দিকা

সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসের ‘স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিস’-এ প্রশিক্ষণ নিয়েছে আয়েশা সিদ্দিকাসহ ২০ জনের একটি দল। ৪ জুলাই শেষ হয়েছে তাদের প্রশিক্ষণ। তিনি সফলভাবে একাধিকবার দড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন হেলিকপ্টার থেকে। পেয়েছেন পাহাড় ও ভবনে ওঠার প্রশিক্ষণ। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গোলাম মর্তুজা

ছোটবেলায় কী হওয়ার ইচ্ছে ছিল?
ছোটবেলা থেকেই গোয়েন্দা কাহিনি আর মারদাঙ্গা চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ ছিল। বড় হয়ে ‘গোয়েন্দা ঝাকানাকা’ হওয়ার ইচ্ছে ছিল। গোয়েন্দা ঝাকানাকা হইনি, তবে এখন কাজ করছি ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ডিভিশন’-এ।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
কাজটাই এখন সব। সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে কাজটাই করতে চাই। অনুসরণ করি কিরণ বেদীকে (ভারতের প্রখ্যাত নারী পুলিশ কর্মকর্তা)। ভয়কে জয় করতে চাই সব সময়। সর্বশেষ দুই সপ্তাহের র‌্যাপলিং কোর্স করেছি। শিখেছি আনআর্মড কমব্যাট, বিল্ডিং ক্লাইম্বিং, হিল ক্লাইম্বিং এসব। এরপর আরও বড় কিছু করতে চাই।

আপনার বেড়ে ওঠা কীভাবে?
বাবা ছিলেন বিজেএমসির কর্মকর্তা। প্রায় ২৫ বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। মা সংগ্রাম করে মানুষ করেছেন তিন ভাইবোনকে। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বিরিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে চলে আসি ঘোড়াশালে। ছোটবেলা থেকেই ছিলাম প্রচণ্ড রোমাঞ্চপ্রিয়। চ্যালেঞ্জ আর রোমাঞ্চের লোভেই বিসিএসে প্রথম পছন্দ হিসেবে দিই পুলিশ ক্যাডার। যেদিন ২৮তম বিসিএসের ভাইভা ছিল, সেদিনই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষা। মাস্টার্স পরীক্ষা বাদ দিয়েই ভাইভায় অংশ নিয়েছি। এরপরে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছি।

পুলিশ না হলে কী হতেন?
আটপৌরে নয়, রোমাঞ্চকর কোনো পেশাই বেছে নিতাম। সে ক্ষেত্রে তালিকার প্রথমে ছিল সাংবাদিকতা।:n:
১১ জুলাই ছিল বাংলা ভাষার এ সময়ের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ৭৮তম জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে প্রথম আলোর জন্য কবি লিখেছেন একটি কবিতা। সঙ্গে এক টুকরো গদ্য।