জেদ্দার বাংলাদেশি স্কুল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

জেদ্দায় বাংলাদেশি স্কুল রক্ষার এক সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন একজন অভিভাবক।
জেদ্দায় বাংলাদেশি স্কুল রক্ষার এক সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন একজন অভিভাবক।

সৌদি আরবের জেদ্দাপ্রবাসী বাংলাদেশি কয়েকজন বিদ্যানুরাগীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেদ্দাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্তানেরা বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। অভিভাবকদের অর্থে পরিচালিত হয় প্রতিষ্ঠানটি।

সৌদি আরব সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব জমিতে কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্কুলটি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবকেরা।

২২ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় স্কুল প্রাঙ্গণে অভিভাবকদের জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিভাবকেরা হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর ভাগ্যে অন্ধকার নেমে আসবে। অনেক অভিভাবক বাধ্য হবেন প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে ফিরে যেতে। এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পরিবারগুলোও আর্থিক অনটনে পড়বে। জেদ্দা, মক্কা, মদিনাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের ছেলেমেয়েদের বাংলা কারিকুলামে শিক্ষার সুবিধা দিচ্ছে জেদ্দার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এখানে এই প্রতিষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই।

স্কুল গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল (শিক্ষা ও শ্রম) রেজা-ই-রাব্বি। তিনি স্কুল রক্ষায় কনস্যুলেটের পক্ষে যা করণীয়, তা গুরুত্বের সঙ্গে করার আশ্বাস দেন।

সভায় মোহাম্মদ আবদুল মান্নান মিয়া জানান, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য আবেদন করা হয়েছে। গত মাসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আইডিবির সম্মেলনে যোগ দিতে জেদ্দা এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির রক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া ওমরাহ করতে আসা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার আশ্বাস দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের জন্যে নিজস্ব জমি কেনা ও ইমারত নির্মাণের জন্য প্রায় ৩০-৩২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল প্রয়োজন। সভায় স্কুলটি রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়।

বাহার উদ্দিন বকুল

জেদ্দা, সৌদি আরব