অটোয়ায় আসছেন রুনা লায়লা

শিল্পী রুনা লায়লা। ফাইল ছবি
শিল্পী রুনা লায়লা। ফাইল ছবি

‘শিল্পী আমি শিল্পী, আমি তোমাদেরি গান শোনাব, তোমাদেরি মন ভরাব’, ‘আমায় গেঁথে দাও না মাগো একটি পলাশ ফুলের মালা’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’ কিংবা ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে’। কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার গাওয়া এসব গান বাংলাভাষী সংগীতপিপাসু মানুষের মনে এখনো দোলা দেয়।

বাংলাদেশে রুনা লায়লা এখনো জনপ্রিয়। বেতার ও টিভিতে তাঁর গান শুনতে মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকেন। মঞ্চে গাইলে সেখানে মানুষ ভিড় জমান। প্রবাসে হলে তো আর কথাই নেই। নিজস্ব সংস্কৃতি, সংগীত, সুর আর গানের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত এই যান্ত্রিক জীবনে ছুটে চলা ব্যস্ততম জীবনে উপস্থিত থেকে সরাসরি তাঁর গান শোনা অনেক বড় কিছু পাওয়া। যেটি হয়তো আরও কিছুদিন কানাডিয়ান না বাঙালি বা বাংলাদেশি কানাডিয়ান, এই আত্মপরিচয়ের টানাপোড়নের সংকটে ভোগা মানুষগুলোর বাংলাপ্রীতি নিবু নিবু শলতেটাকে তেলের খোরাক জোগাবে। বিশেষত নতুন প্রজন্ম বা তাদের সন্তানদের শিকড়হীন আত্মপরিচয়ের গ্লানি ঘোচাতে সহায়ক হবে।

শিল্পী রুনা লায়লা। ফাইল ছবি
শিল্পী রুনা লায়লা। ফাইল ছবি

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্র ও গানের ভুবনে দাপিয়ে বেড়ানো বাংলা গানের মুকুটহীন রানি শিল্পী রুনা লায়লা। অসংখ্য কালজয়ী গান গেয়ে তিন থেকে চার প্রজন্মের শ্রোতাদের মন মাতিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পী। বাংলা গানের পাশাপাশি ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, গুজরাটিসহ ১৭ থেকে ১৮টি ভাষায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়ে এবং দেশে-বিদেশে হাজারো মঞ্চ অনুষ্ঠানে অগণিত দর্শক-শ্রোতার মন জয় করেছেন শিল্পী রুনা লায়লা। গজলশিল্পী হিসেবেও তাঁর সুনাম আছে দক্ষিণ এশিয়ায়।
ইথারে কিংবা টিভিতে শোনা নয় কিংবা শিল্পী হয়ে তোমাদেরি মাঝে চিরদিন আমি রবোর মতোও নয়। এবার তিনি সরাসরি অটোয়াবাসীকে গান শোনাবেন। জনপ্রিয় এই শিল্পী অটোয়ার সংগীতপিপাসু বাঙালিদের গান শোনাতে প্রথমবারের মতো আসছেন অটোয়ায়। আগামী ১০ অক্টোবর শুক্রবার ফিউশন বুটিকের আয়োজনে অ্যাডাল্ট হাইস্কুল মিলনায়তনে তিনি গান গাইবেন। সেখানে গীতিকার মাসুদ করিমের লেখা ও সুবল দাশের সুরারোপিত ‘শিল্পী আমি শিল্পী’সহ আরও অনেক গান গাইবেন তিনি। গ্রীষ্মের বিদায়ক্ষণ আর শীতের আগমনী মুহূর্তে রুনা লায়লার গান অটোয়াবাসীকে বেশ উষ্ণতায় ডুবিয়ে রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং, আপনি সেই উষ্ণতা উপভোগ করতে চাইলে টিকিটের জন্য যোগাযোগ করুন। টিকিটের জন্য যোগাযোগ: শিল্পী রহমান (৬১৩-২৬৫-৭৩৮০), ডালিয়া ইয়াসমিন (৬১৩-২৬৫-১৪৫৯), আফরোজা খান লিপি (৬১৩-৫৯০-৯২৯৮) ও তানজিবা রব (৬১৩-৩০১-৬৭৮৬)।

সৌরভ বড়ুয়া
অটোয়া, কানাডা