টোকিওতে বাংলাদেশকে নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন মাৎসুহিরো হরিগুচি (ডানে)
আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন মাৎসুহিরো হরিগুচি (ডানে)

জাপানিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে নির্মিত দুটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। চলচ্চিত্র দুটি জাপানের খ্যাতনামা পরিচালক সিসিলা অমি কিতাজিমা তৈরি করেছেন। ২১ সেপ্টেম্বর, রোববার বিকেলে টোকিওর জাইকা সেন্টারে (চিকিউ হিরোবা) বিপুলসংখ্যক জাপানির উপস্থিতিতে প্রামাণ্য চিত্র দুটি প্রদর্শিত হয়।

মাসুদ বিন মোমেন ও মাৎসুহিরো হরিগুচির (ডানে) সঙ্গে ছবির প্রযোজক সলিমুল্লাহ কাজল ও সিসিলা অমি কিতাজিমা (বাঁয়ে)
মাসুদ বিন মোমেন ও মাৎসুহিরো হরিগুচির (ডানে) সঙ্গে ছবির প্রযোজক সলিমুল্লাহ কাজল ও সিসিলা অমি কিতাজিমা (বাঁয়ে)

গত বছর বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম জাপানে মাসব্যাপী প্রদর্শিত হয়। তখন শিল্পীরাও জাপানে এসেছিলেন। এই প্রদর্শনীর নাম ছিল সেতোউচি ট্রাইঅ্যানাল ২০১৩, বেঙ্গল আইল্যান্ড। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ঢাকায় আয়োজন করা হয় দ্য সেকেন্ড রিকশা ফিয়েস্তা ২০১৪ শীর্ষক প্রদর্শনী। এই দুই আয়োজন এবং বাংলাদেশের আরও কিছু বিষয় নিয়ে নির্মিত ‘এ মেসেজ ফ্রম রিভার’ ও ‘এ ওয়াইডার সার্কেল অব রিকশা’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র দুটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন মাৎসুহিরো হরিগুচি।
দুই ভাগে বিভক্ত অনুষ্ঠানের বিরতিতে নির্মাতা অমি কিতাজিমা ও প্রযোজক সলিমুল্লাহ কাজল রকি মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে উপস্থিত দর্শকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
জাপানপ্রবাসী আলোকচিত্রী আবদুল ওয়াদুদ ও খন্দকার আনিসুর রহমান গত বছর সেতোউচি ট্রাইঅ্যানাল ২০১৩, বেঙ্গল আইল্যান্ড শীর্ষক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ও এ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছবি তুলেছিলেন। সেদিন তাঁদের তোলা ছবিও প্রদর্শিত হয়। দর্শকেরা আগ্রহ ভরে সেই ছবিগুলোও দেখেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী শাহ মহিউদ্দিন তাঁর প্রতিষ্ঠান ইমন-এর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক ও দরিদ্র মহিলাদের বোনা শতভাগ বাংলাদেশি গামছা ও নকশিকাঁথা বিক্রির অভিনব একটি প্রকল্পের ব্যাখ্যা করেন। তিনি উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকে ২০ জনকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের মেড ইন বাংলাদেশ লেখা ব্যাগ উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রায় সবাই সেই ব্যাগ নেওয়ার জন্য আগ্রহী হলে চমৎকার এক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত জাপানি লটারি-পদ্ধতি জাংক কেন পই-এর মাধ্যমে ২০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এটা ছিল বিশেষ উপভোগ্য। সবশেষে বাংলাদেশি চা দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।

খন্দকার আনিসুর রহমান
টোকিও, জাপান