বিশেষ দিনটিতে

মঙ্গল প্রদীপের আলো নারীর জীবনের অন্ধকারকে দূর করবে। ছবি: সাজিদ হোসেন
মঙ্গল প্রদীপের আলো নারীর জীবনের অন্ধকারকে দূর করবে। ছবি: সাজিদ হোসেন

দিনটি এমনিতেই নারীদের জন্য। বিশ্বের সব নারী শুধু নয়, পুরুষেরাও নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধে সোচ্চার হন। গত ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে তেমনই এক মিলনমেলা হয়। কানাডীয় দূতাবাস ও অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
অ্যাসিড সন্ত্রাসের ভয়াবহতাকে কাটিয়ে সংগ্রাম করে এগিয়ে গেছেন নীলা। তিনি যখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন তখন তাঁর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন তিনি। এখন তিনি বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। নীলার মতো নীহাও শোনান তাঁর জীবনের ভয়াবহ সেই অধ্যায় থেকে আলোর দিকে এগিয়ে আসার গল্প। তাঁদের গল্প হৃদয়কে নাড়া দেয়। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এখানে আসা অতিথিরা।
এখানে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হওয়া নারীশিশুদের ছবি দীর্ঘদিন ধরে তুলছেন আলোকচিত্রী শফিকুল আলম কিরণ। তাঁর তোলা এসব ছবি প্রদর্শিত হয়।
ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার হেদার ক্রুডেন বলেন, ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশে একসময় আর কোনো নারী নির্যাতিত হবেন না। এ দেশে না থাকলেও অন্য দেশ থেকে এ সংবাদ জানলে আমার ভালো লাগবে।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ ও নিটল নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা আহমাদ।
অনুষ্ঠানে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হওয়া নারীরা গান গেয়েছেন, নৃত্য পরিবেশন করেছেন।