নতুন মাহমুদউল্লাহ!

মাহমুদউল্লাহ
মাহমুদউল্লাহ

ময়মনসিংহের একটি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিলেন হাবিবুল বাশার। সেই টুর্নামেন্টের নাম বা প্রতিপক্ষ কিছুই মনে নেই হাবিবুলের। তবে মনে ছিল একটি ছেলের নাম—রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ)। হাবিবুলের দলের বিপক্ষে সেদিন দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ শেষে অটোগ্রাফের খাতা হাবিবুলের দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। হাবিবুল সে খাতায় লিখেছিলেন, ‘তোমাকে একদিন জাতীয় দলে দেখতে চাই’।
মাহমুদউল্লাহ জাতীয় দলে এসেছেন। হাবিবুলের অধিনায়কত্বে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না হলেও হাবিবুলকে দলের নির্বাচক হিসেবে তো পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ!
১১৫ ওয়ানডেতে ৩৫.২৪ গড়ে দুই শতক ও ১২ অর্ধশতকে ২৪৬৭ রান করা (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ মার্চের খেলা পর্যন্ত) মাহমুদউল্লাহ মাঝে খুব বাজে সময় কাটিয়েছেন। তবে বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরে পেয়েছিলেন হারানো আত্মবিশ্বাস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮। বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর রানক্ষুধা যেন বেড়েই চলেছে! সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘রিয়াদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পেছনে দুটো বিষয় কাজ করেছে। এক. পারফরম্যান্স ক্ষুধা, দুই. ত্যাগের মানসিকতা।’ বিশ্বকাপের আগে আগে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মেদহীন ঝরঝরে শরীর পেতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর থেকেই মেদ কমিয়ে ফেলায় বেড়েছে তাঁর ফিজিক্যাল ফিটনেসও। এ জন্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়েছে অনেক প্রিয় খাবার। গত ২২ জানুয়ারি মিরপুরে অনুশীলন শেষে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এত শুকিয়ে গিয়েছেন কেন?’ মাহমুদউল্লাহর জবাব, ‘না খেতে খেতে!’
‘না খেতে খেতে’ সবারই ক্ষুধা বাড়ে। মাহমুদউল্লাহরও বেড়েছে। এ ‘ক্ষুধা’কে হাবিবুলের ভাষায় বলতে হবে, ‘পারফরম্যান্স ক্ষুধা’!