ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের টিকিট হাতে...

তিন বিজয়ী। বাঁ থেকে ইশমাম চৌধুরী, আয়মান সাদিক ও সাজিদ আলম। ছবি: সংগৃহীত
তিন বিজয়ী। বাঁ থেকে ইশমাম চৌধুরী, আয়মান সাদিক ও সাজিদ আলম। ছবি: সংগৃহীত
শিরোপা হাতে একটা সেলফি তো না তুললেই নয়!
শিরোপা হাতে একটা সেলফি তো না তুললেই নয়!

কী ছিল এবারের সমস্যা, যার সমাধান দিয়ে মিলল এই সাফল্য? ইশমাম জানাচ্ছিলেন সে কথা। ‘দুই ধাপে হয়েছিল এবারের প্রতিযোগিতা। প্রথমে সেমিফাইনাল রাউন্ড, যেখান থেকে সেরা ১০টি দল উন্নীত হয় ফাইনাল রাউন্ডে। দুই রাউন্ডের জন্যই ছিল আলাদা আলাদা সমস্যা।’

সেরা দশে উঠে এক কঠিন ‘জটে’ পড়ে গিয়েছিলেন ইশমামরা। শ্যাম্পুর সঙ্গে যে কন্ডিশনার পাওয়া যায়, সেটা মূলত চুলের জট ছাড়াতে উপকারী। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কীভাবে কন্ডিশনারের জনপ্রিয়তা বাড়ানো যায়, সেটাই ছিল তাঁদের চ্যালেঞ্জ। আয়মান বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখলাম, একজন নারী যদি প্রতিদিন পাঁচ মিনিট চুলের জট ছাড়াতে ব্যয় করেন, তাহলে এই জটেই কাটবে তাঁর জীবনের মোট ৮২ দিন। তাহলে এক কন্ডিশনার ব্যবহারই একজন নারীর জীবনে ৮২টা দিন যোগ করতে পারে!’ এই চমকপ্রদ ভাবনাকে কেন্দ্র করেই ‘ক্যাম্পেইন’ সাজিয়েছিলেন আয়মানরা। ঠিক করেছিলেন তাঁদের প্রচারণার স্লোগান, ‘আনট্যাঙ্গেল ইয়োর হেয়ার, আনট্যাঙ্গেল ইয়োর লাইফ’। বিস্তারিত হিসাবনিকাশ, পরিকল্পনা, বিপণন ব্যবস্থা—সবকিছুই দেখাতে হয়েছিল তাঁদের পরিবেশনায়। আর এসব কিছুরই বিচার-বিবেচনা শেষে বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। জয়ী হওয়ার সুবাদে আসন্ন ‘ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ড’ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন এই তিন তরুণ। যেখানে প্রতিবছর বিশ্বের উদীয়মান ও প্রতিষ্ঠিত নেতারা অংশ নেন।

তিনজনই আইবিএ থেকে সদ্য পড়াশোনার পাট চুকিয়েছেন। ইশমাম ও সাজিদ কাজ করছেন দুটি বড় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে আয়মানের ধ্যানজ্ঞান তাঁর অনলাইন স্কুলভিত্তিক ওয়েবসাইট—টেন মিনিট স্কুল। ‘ফিউচার লিডারস লিগ’-এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তো পাওয়া হলো, এবার ভবিষ্যৎকে নেতৃত্ব দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।