ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন মিত্র ইসরায়েলকে আশ্বস্ত করতে সচেষ্ট হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, সংকট নিরসনে ‘সামরিক উদ্যোগের’ চেয়ে সমঝোতার বিষয়টি যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ইরান নিশ্চয়ই তা প্রমাণ করবে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে গত সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন বারাক ওবামা। বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চাইলে সব ধরনের উদ্যোগই নিতে পারে। ইরানের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই সবদিক সতর্কভাবে যাচাই করে নেবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতার পর গত কয়েক দিনের নাটকীয় উষ্ণতায় ইসরায়েল উদ্বিগ্ন।
ওবামার সঙ্গে বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের ওপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক অবরোধ বহাল রাখতে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মাত্রা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, কূটনৈতিকভাবে সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ইরানের ওপর অবরোধ বহাল রাখতে হবে।
অন্যদিকে ওবামা বলেন, কূটনৈতিক উদ্যোগ যাচাই করে দেখতে হবে। ইরানের উদ্দেশ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আন্তর্জাতিক আইনের সামঞ্জস্য আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
এদিকে ইরান বলেছে, পরিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কেবল ওবামার টেলিফোনই যথেষ্ট নয়, এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে। দেশটির পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আব্বাস আরাগাচি বলেন, তেহরান-ওয়াশিংটনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস কেবল ১৫ মিনিটের একটি ফোনালাপ, বৈঠক ও আলোচনার মাধ্যমে পাল্টে যেতে পারে না।
ফোনালাপের সমালোচনায় রেভল্যুশনারি গার্ড: ইরানের প্রভাবশালী বিশেষ সামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের অধিনায়ক জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফারি দেশটির প্রেসিডেন্ট রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার মধ্যে গত সপ্তাহের বহুল আলোচিত ফোনালাপের সমালোচনা করেছেন। জাফারি বলেন, ওই ফোন না ধরাই রুহানির উচিত ছিল। গার্ডিয়ান ও আল জাজিরা।