উদ্ভিদের প্রায় অর্ধেক প্রজাতিই বিলুপ্তির হুমকিতে

সবুজ বৃক্ষএএফপির ফাইল ছবি

বিশ্বে উদ্ভিদের প্রায় ৪০ ভাগ প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনস কিউ এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সিএনএনের খবরে এ কথা বলা হয়।

‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস প্ল্যান্টস অ্যান্ড ফানজি ২০২০’ নামের এই প্রতিবেদন গত বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের এক গবেষণায় ২০ শতাংশ উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ৪২টি দেশের ২১০ জন বিজ্ঞানীর কাজের ভিত্তিতে এবং সমৃদ্ধ উপাত্ত ও গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করে বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

আরবিজি কিউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মানুষের খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে গাছপালা কেটে জমি পরিষ্কার করার ফলে বনভূমি উজাড়ের হার বেড়েছে, বিশ্বে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ জলবায়ু ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, নতুন রোগজীবাণু আমাদের খাদ্যশস্য ও স্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলেছে, অবৈধ বাণিজ্য বৃক্ষরাজিকে বিনাশ করছে।’

গবেষকেরা বলছেন, যেসব প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে তার অনেকগুলোই ঔষধি বৃক্ষ। গবেষণায় ৫ হাজার ৪১১টি ঔষধি বৃক্ষের ওপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে ৭২৩টিই রয়েছে বিলুপ্তির হুমকিতে।

গবেষকেরা বলছেন, আমরা এরই মধ্যে এসব জেনেছি। কিন্তু বৃক্ষ সম্পর্কে আমাদের জানাশোনায় বড় ফাঁক রয়েছে। উদ্ভিদের প্রজাতিগুলো রক্ষায় আমাদের আরও কাজ করা প্রয়োজন। আরবিজি কিউয়ের পরিচালক (বিজ্ঞান) আলেকজান্ডার অ্যান্টোনেলি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা এত দ্রুত বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রজাতি হারাচ্ছি যে, আমরা এগুলোর নাম বলে সারতে পারছি না। এ যেন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়ে চলা।’

অ্যান্টোনেলি বলেন, ‘এমন এক বিশ্ব আসতে চলেছে, যেখানে ৪০ ভাগ উদ্ভিদ প্রজাতির আর দেখা মিলবে না। এটি এমন এক বিশ্ব, যার সম্পর্কে আমরা এখন জানি না।’ তিনি আরও বলেন, এত প্রজাতি হারানোর ফলাফল কী হবে তা আমরা এ মুহূর্তে জানি না। তবে এটা ‘বিপর্যয়কর’ হবে। কেননা, প্রতিবেশ ব্যবস্থায় কোন উদ্ভিদ যে কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সে বিষয়ে আমরা বুঝছি না। এর সবই একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত।

গবেষকেরা বলছেন, যেসব প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে তার অনেকগুলোই ঔষধি বৃক্ষ। গবেষণায় ৫ হাজার ৪১১টি ঔষধি বৃক্ষের ওপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে ৭২৩টিই রয়েছে বিলুপ্তির হুমকিতে।