করোনার টিকার জন্য বিশ্বব্যাংকের ১২০০ কোটি ডলার

বিশ্বব্যাংক উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার অনুমোদন দিয়েছে। এ অর্থ কোভিড-১৯–এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন কেনা ও বিতরণের কাজের জন্য ব্যয় করা হবে। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১০০ কোটি লোকের টিকা প্রদানে সহায়তার লক্ষ্যে এ অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ (ডব্লিউবিজি) কোভিড-১৯ মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ২০২১ সালের জুন নাগাদ ১৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্যাকেজ হাতে নিয়েছে। এই (১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার) অনুমোদিত অর্থ তারই একটি অংশ।

বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ অর্থায়ন প্যাকেজটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর নাগরিকদেরও নিরাপদ এবং কার্যকর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য গবেষণা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পকে সহায়তা করবে। এ অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও সরবরাহ করবে, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়া এবং শক্তিশালী সরবরাহ পদ্ধতি করোনা মহামারির গতিপথ পাল্টানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া যেসব দেশ গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে, এ অর্থ তাদের জন্যও সহায়ক হবে। তা ছাড়া এ অর্থ কোভিড-১৯–এর পরীক্ষা ও চিকিৎসার কাজের জন্যও সহায়ক হবে।

এই অর্থসহায়তার কথা গত সেপ্টেম্বরেই জানিয়েছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কোম্পানি ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ শুরু করেছে। অনেক কোম্পানি করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল চালিয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মানুষের ওপর প্রয়োগ শুরু করেছে।

কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এ মাসেই বাজারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনার কথা জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই কোভিড ভ্যাকসিন আনার কথা জানিয়েছেন।