জাতিসংঘ-যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেনা সহায়তা চেয়েছে হাইতি
প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডে পর জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেনা সহায়তা চেয়েছে হাইতি। প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের জের ধরে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতে দেশটির বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ নানা কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালানো হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে এ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার হাইতির নির্বাচনসংক্রান্ত মন্ত্রী ম্যাথিয়াস পিয়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইসহ অন্য তদন্তকারীদের সেখানে পাঠানো হবে বলে এর আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্টকে হত্যার পর হাইতিতে সহিংসতা সৃষ্টি করতে কিছু স্থাপনায় হামলা চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে হাইতির ‘নিরাপত্তা ও তদন্তসংক্রান্ত সহায়তা’ চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। এ বিষয়ে হাইতির সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে তারা আদৌ সেনা পাঠাবে কি না, তা নিশ্চিত করেনি। এ বিষয়ে আপাতত মন্তব্য করতে চায়নি জাতিসংঘও।
এর আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি গতকাল বলেন, শিগগিরই ক্যারিবীয় অঞ্চলের এ দেশে হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে এফবিআইয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে।
গত বুধবার বন্দুকধারীরা প্রেসিডেন্ট মইসির বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে। এ হামলায় তাঁর স্ত্রী মার্টিন মইসি আহত হন। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। মইসি ২০১৭ সাল থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর পদত্যাগ দাবি করে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়েছিল।
এদিকে মইসি হত্যাকাণ্ডে ২৮ জনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার এবং দুজন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। দেশটির পুলিশপ্রধান লিওন চার্লস বলেন, ‘আমরা ১৫ কলম্বিয়ান এবং হাইতি বংশোদ্ভূত দুজন মার্কিনকে গ্রেপ্তার করেছি। তিন কলম্বিয়ান এর আগে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও আটজন পলাতক।’
মইসি নিহত হওয়ায় সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ। ঘটনার পরপরই তিনি জনসাধারণের চলাচলের ওপর অবরোধ আরোপ করেন। তবে গতকাল রাস্তাঘাটে মানুষের কিছুটা উপস্থিতি দেখা গেছে। খুলেছে দোকানপাট, চালু হয়েছে গণপরিবহনও।