জার্মানিতে কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা নেওয়ার পর অবশেষে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ কথা বলেছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ান স্পান। শুক্রবার রাজধানী বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, কঠোর বিধিনিষেধের কারণে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের হার কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
কঠোর লকডাউন ব্যবস্থার প্রভাব নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর সন্তুষ্টি ও টিকা প্রদানের প্রভাবের কথাও উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, শতাব্দীর মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার পথ শুরু হয়েছে।
জার্মানির সংক্রামক রোগ বিষয়ের গবেষণাকেন্দ্র, রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট বলছে, জার্মান সরকার প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্য সংক্রমণের হার ১০০ জনের নিচে নামানোর জন্য যে কৌশল নিয়েছিল, তা সফল হচ্ছে। প্রতি এক লাখে এ সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৯ জন।
এদিকে, জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (এমা)। এর আগে ইইউ জোটভুক্ত দেশগুলোতে জার্মানির বায়োএনটেক ও মার্কিন অংশীদার ফাইজার এবং মার্কিন সংস্থা মডার্নার টিকা অনুমোদন পেয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা ভারত ও বাংলাদেশেও ব্যবহার শুরু হয়েছে।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইয়ান স্পানের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বার্লিনের সংক্রামক রোগ গবেষণাবিষয়ক পাউল এরলিস ইনস্টিটিউটের সভাপতি ক্লাউস সিচুটেক উপস্থিত ছিলেন। তিনি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসংক্রান্ত ভুয়া খবর বিষয়ে সতর্ক করেন।
রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক লোথার ভিলার জার্মানির করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, জার্মানির ১৬ রাজ্যের মধ্য চারটি রাজ্য থিউরিঙ্গিয়া, স্যাক্সনি-আনহাল্ট, ব্র্যান্ডেনবার্গ এবং স্যাকসনিতে সবচেয়ে সংক্রমণ বেশি। তবে লকডাউনে প্রভাবে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
জার্মানিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কড়া লকডাউন জারি রয়েছে। রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।