টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল আরব আমিরাত

করোনার টিকা তৈরিতে কাজ করছেন গবেষকেরা
ছবি: রয়টার্স

করোনার টিকা পরীক্ষা শুরু করার ছয় সপ্তাহ পরই তা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। গতকাল সোমবার দেশটিতে চীনা টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি টিকা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত জুলাইয়ে আরব আমিরাতে কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করে সিনোফার্ম। এখনো টিকাটির পরীক্ষা শেষ হয়নি। দেশটির ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি এক টুইটে বলেছে, টিকাটি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশের প্রতিরক্ষাকাজে নিয়োজিত প্রথম সারির নায়কদের দেবে তারা।

আরব আমিরাতে কোভিড-১৯ রোগী যখন বাড়তির দিকে, তখন দেশটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এল। গত শনিবার দেশটিতে এক দিনে ১ হাজার ৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা মহামারি শুরুর পর থকে সর্বোচ্চ। গতকাল দেশটিতে নতুন করে ৭৭৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

পরীক্ষাধীন থাকা টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি ২১ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা চালানোসহ কয়েকটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে।

আরব আমিরাতের টিকা অনুমোদন দেওয়া সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, টিকা দেওয়ার পর মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকলেও এতে গুরুতর কিছু ঘটবে না। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। অনেক ক্রনিক রোগীও এ টিকার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রেও জটিল কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন

সিনোফার্মের পক্ষ থেকে গত জুলাই মাসে আরব আমিরাতে টিকা পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পরীক্ষামূলক টিকাটির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ সফল হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ সময় ২৮ দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার পর শতভাগ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়।

সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন হিসেবে যে টিকা তৈরি করা হয়, এতে মৃত ভাইরাস বা ভাইরাস থেকে সংগৃহীত প্রোটিন ব্যবহৃত হয়। টিকা তৈরির এ প্রক্রিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হামের বিরুদ্ধে পরীক্ষিত।

গত আগস্টে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় রাশিয়া। দুই মাসের কম সময়ে এটি পরীক্ষা চালানোর পর ওই অনুমোদন দেওয়া হয়। রাশিয়ার টিকাটি নিরাপদ দাবি করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তাঁর এক মেয়েও টিকাটি নিয়েছিলেন। তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়েছিল।