ডব্লিউএইচওর বিবেচনায় ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা

টিকা প্রদর্শন করছেন এক নার্স
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায়ও এগিয়ে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথন শুক্রবার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তাঁর সংস্থা প্রথমে ফাইজারের টিকা অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে। তারপর মডার্না আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফাইজারের টিকাটি উদ্ভাবনে সহযোগিতা করেছে জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। মডার্নাও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি উদ্ভাবন করা হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ গবেষণার ভিত্তিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো টিকার অনুমোদন দিলে বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টন সহজ হবে। কারণ, যেসব সদস্যরাষ্ট্র টিকা অনুমোদনে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন করে উঠতে পারেনি, সেসব দেশেও তখন টিকা সরবরাহ করা যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, অন্তত ১০টি কোম্পানি তাঁদের কাছে টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিতে অনুরোধ জানিয়েছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, তাঁর সংস্থার কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫০ কোটি ডোজ করোনার টিকা সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। ১৮৯টি দেশের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় টিকা সরবরাহ করা হবে।