নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর...

তান্দিনা এলহাজ বায়াতাল্লাহ। ছবিটি তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিও থেকে নেওয়া।

মজা করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে বিপাকে পড়েছেন মালির এক যুবক। তান্দিনা এলহাজ বায়াতাল্লাহ নামের ওই যুবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি ও ভিডিও পোস্ট করে থাকেন। তেমনই একটি ভিডিও গত রোববার পোস্ট করেন বায়াতাল্লাহ। যার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারও হতে হয়। এ–সম্পর্কিত ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আরেক ব্যক্তিও। যিনি বায়াতাল্লাহর ‘নেতৃত্বাধীন সরকারের’ প্রধানমন্ত্রী হতে ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা দুই মিনিটের ওই ভিডিওতে বায়াতাল্লাহ নিজেকে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে মালির বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন। এ সময় তাঁর পরনে সাদা জামা, মাথায় টুপি ও বাঁ কাঁধের ওপর মালির পতাকা জড়ানো ছিল। অবশ্য ভিডিওর শেষের দিকে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, এটি নিছক মজা করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করা হয়নি। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘এর জন্য আবার পুলিশে পাঠাবেন না।’

তবে মজার বিষয়টি খোলাসা করার পরও বায়াতাল্লাহকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। গত মঙ্গলবার মালির তিমবুকতু শহরের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ২৪ ঘণ্টা বন্দী থাকার পর বুধবার তিনি মুক্তি পান। মুক্তির বিষয়টি বায়াতাল্লাহ নিজেই ফেসবুকে জানান।

তিমবুকতুর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে বায়াতাল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই কর্মকর্তা জানান, তিমবুকতুর আরেক বাসিন্দাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির দোষ, তিনি অনলাইনে বায়াতাল্লাহর নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।

২০২০ সালের আগস্টে সেনা–অভ্যুত্থানের কারণে পদচ্যুত হন মালির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকর কেইতা (গত ১৬ জানুয়ারি তিনি মারা যান)। এরপর গত বছরের মে মাসে সেনাবাহিনী দেশটির বেসামরিক সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও সরিয়ে দেয় ও প্রভাবশালী কর্নেল আসিমি গৌতাকে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় বসায়।