একপর্যায়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে চিঠি লিখলেন লিওরা। কিন্তু সেনাবাহিনী তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। তাদের ভাষ্য ছিল, লিওরা যা জানতে চান, তা অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য। বাধ্য হয়ে লিওরা অনুরোধ জানান, শুধু মেনার্ডের পুরো নামটা যেন তারা জানায়। বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালির পর ব্রিটিশ সেনাবাহিনী জানায়, ওই সেনাসদস্যের নাম আর্থার টমাস মেনার্ড।
এবার লিওরা যুক্তরাজ্যের জনমিতির তথ্য ঘেঁটে বেশ কয়েকজন আর্থার টমাস মেনার্ডকে পেয়ে যান। সবার ঠিকানায় তিনি চিঠি দেন। বেশ কয়েকজনের সন্তান জবাবও পাঠায়। সব মিলিয়ে ৫০-৬০টি চিঠি চালাচালি হয়। কিন্তু কোনো মেনার্ডই প্রকৃত বলে প্রমাণিত হয় না। হতাশার দ্বারপ্রান্তে থাকা অবস্থায় হঠাৎ একদিন ই–মেইল করলেন যুক্তরাজ্যের নরফকের প্রত্যন্ত স্টিবার্ডের বাসিন্দা মাইকেল ও ভ্যালেরি বক্সাল। তাঁরা তাঁদের প্রতিবেশী টম মেনার্ড ও তাঁর বোন উইনি মেনার্ড ডেভিসের পক্ষ থেকে ই–মেইলটি করেছিলেন। ওই ই–মেইলে জানানো হয়, ৮০ বছরের বেশি বয়সী টম ও উইনির এক ভাই ছিলেন, যাঁর নাম আর্থার টমাস মেনার্ড। তিনি আর জীবিত নেই। ই–মেইলে পোস্টকার্ডটির একটি ছবি চাওয়া হয়, যাতে টম ও উইনি তাঁদের ভাইয়ের হাতের লেখার সঙ্গে পোস্টকার্ডের লেখা মিলিয়ে দেখতে পারেন।
ই–মেইলের জবাবে লিওরা পোস্টকার্ডের ছবি পাঠান। ফিরতি ই–মেইলে টম ও উইনির ভাই আর্থার টমাস মেনার্ডের হাতের লেখার ছবি পাঠান মাইকেল ও ভ্যালেরি বক্সাল। লিওরার আর কোনো সন্দেহ থাকে না, তিনি পোস্টকার্ডের প্রেরকের খোঁজ পেয়ে গেছেন। কিশোরী মেয়েকে নিয়ে এবার লিওরা রওনা হয়ে যান যুক্তরাজ্যের পথে। মেনার্ডের ভাইবোনের কাছে পৌঁছে দেন পোস্টকার্ডটি।