প্রথমবারের মতো বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়াল
বিশ্বে প্রথমবারের মতো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক মানুষ শরণার্থী হওয়ার প্রভাব সামগ্রিকভাবে পড়েছে এই সংখ্যায়।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, যুদ্ধ, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের কারণে অনেক মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ কারণেই প্রথমবারের মতো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি স্পর্শ করেছে।
বিবৃতিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাকে ‘আশঙ্কাজনক’ উল্লেখ করে ইউএনএইচসিআর বলেছে, এই বিশাল সংখ্যা যুদ্ধ থামাতে বিশ্বকে অবশ্যই তাগাদা দেবে। যুদ্ধের ফলে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ নিজের ঘড়বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন ছেড়েছে ৬০ লাখের বেশি মানুষ।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের এই সংখ্যাকে ‘ওয়েক–আপ–কল’ উল্লেখ করেন জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
এর আগে গত সপ্তাহে ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) ও নরওয়েজিয়ান রিফিউজি সেন্টারের (এনআরসি) প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ২০২১ সালে নিজ দেশের ভেতরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ২০২১ সালেই নিজ দেশের ভেতর নতুন বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮০ লাখ। এ সময় কিছু মানুষ একাধিকবার তাদের বাসস্থান ছাড়তে বাধ্য হন। ২০২০ সালেও ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা দেখেছিল বিশ্ব। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই সময় অনেক মানুষকে নিজেদের বাসস্থান ছাড়তে হয়।