বাসযাত্রীর মুখে ভয়ংকর এক জ্যান্ত ‘মাস্ক’

মাস্ক প্রতীকী ছবি।
ছবি: রয়টার্স

বাসে উঠেছিলেন এক যাত্রী। মুখে ছিল বিচিত্র মাস্ক। অন্য যাত্রীরা ভাবেন, হয়তো নতুন কোনো নকশার মাস্ক পরেছেন তিনি। পরে জানা গেল সেটি মাস্ক নয়। ছিল ভয়ংকর কিছু। এই জ্যান্ত মাস্ক একটি সাপ।

ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় স্থানীয় সময় গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে। ওই যাত্রী আসলে নাকমুখে সাপ পেঁচিয়ে বাসে উঠেছিলেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার গণপরিবহন কর্তৃপক্ষ মাস্ক পরার বিষয়ে নিয়ম স্পষ্ট করেন।

ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজের বরাত দিয়ে এএফপির খবরে জানানো হয়, ওই যাত্রী ম্যানচেস্টারে যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেছিলেন। বাসে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তিনি চটকদার কোনো মাস্ক পরেছেন। পরে দেখি, মাস্কটি তাঁর হাতের চারপাশে নড়াচড়া করছে। বাসে থাকা কেউ বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামায়নি। তবে পেছন থেকে এক ব্যক্তি ঘটনার ভিডিও করেন। ঘটনাটি যথেষ্ট বিনোদন দিয়েছে।’

ছবিতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি সাদা টি-শার্ট ও জিনস প্যান্ট পরেছিলেন। তাঁর গলা ও মুখের চারদিকে পাইথন কুণ্ডলী পাকিয়েছিল। ওই ব্যক্তির মুখে অন্য কোনো মাস্ক ছিল না।

ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে অসুস্থ ও শিশুদের জন্য নিয়মে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।

‘প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তিনি চটকদার কোনো মাস্ক পরেছেন। পরে দেখি, মাস্কটি তাঁর হাতের চারপাশে নড়াচড়া করছে। বাসে থাকা কেউ বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামায়নি। তবে পেছন থেকে এক ব্যক্তি ঘটনার ভিডিও করেন। ঘটনাটি যথেষ্ট বিনোদন দিয়েছে।’
বাসে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী

ম্যানচেস্টারের পরিবহন সমন্বয়কারী সংস্থা আ ট্রান্সপোর্ট ফর গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মুখপাত্র জানান, সরকার সার্জিক্যাল মাস্ক, স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে রাখার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ওই মুখপাত্র বলেন, ‘সাপকে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করাকে আমরা সমর্থন করি না।’

যুক্তরাজ্য সরকার প্রথমে করোনা সংক্রমণ হতে পারে—এমন বিশেষ কিছু জায়গা, যেমন দোকানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে। পরে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নীতি বদল করে। মাস্ক পরার পদক্ষেপ নিয়ে কিছু বিরোধিতা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হয়নি।