বিশ্বকে বাঁচাতে চাই নতুন চুক্তি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় মুক্তবাজার ও মুক্তবাণিজ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চাইছেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের নেতারা।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমস্যায় পড়তে পারে উন্নয়নশীল দেশগুলো
ছবি : রয়টার্স

করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে বিশ্বকে সারিয়ে তুলতে প্রকৃতির সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন দেশের একদল রাজনীতিবিদ। এরই অংশ হিসেবে জলবায়ু–সংকট মোকাবিলা ও প্রাকৃতিক বিশ্ব পুনরুদ্ধারে বিশ্ববাসীর জন্য একটি ‘পরিবেশবান্ধব চুক্তি’ প্রয়োজন বলে মনে করেন এই নেতারা।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বে পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি গড়তে সব সরকারকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে কাজে করছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স। আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখেই সেই প্রচেষ্টা বেগবান করতে কাজ করছে বৈশ্বিক এই জোটটি। এই জোটে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিকেরা রয়েছেন। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ থেকে পৃথিবী বাঁচাতে অনেক নেতা এই জোট যোগ দিচ্ছেন। পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি পরিবেশবান্ধব নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে দূতিয়ালি করছে জোটটি।

যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা ও এমপি ক্যারোলিন লুকাস, লেবার পার্টির ক্লাইভ লুইসসহ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতারা রয়েছেন এই জোটে। গ্লোবাল অ্যালায়েন্সে বর্তমানে ১৯টি দেশের ২১ জন সদস্য রয়েছেন। এই জোটে প্রথমবারে মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একজন নারী সদস্য যুক্ত হয়েছেন। তাঁর নাম জোয়ানিয়া ওয়াপিচানা। তিনি ব্রাজিলের প্রতিনিধি।

জোটের সঙ্গে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের আলোচিত কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সম্প্রতি যে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যায়, তা সতর্কতা হিসেবেই গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে এবং এটা মানুষের অস্তিত্বের জন্য চরম হুমকির।’