মইসির শেষকৃত্য ২৩ জুলাই

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি
ছবি: রয়টার্স

সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির শেষকৃত্য ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। হাইতির ঐতিহাসিক শহর ক্যাপ-হাইতিয়েনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

কিউবায় চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন হাইতির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম নেতা জ্যঁ বারট্রান্ড আরিসতিদ। এরপর মইসির শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে।

মইসির ওপর যখন হামলা চালানো হয়, তখন গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী মার্টিন মইসি। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মইসির শেষকৃত্য উপলক্ষে তিনি দেশে ফিরবেন।

মইসির শেষকৃত্য সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ বলেন, মার্টিন মইসি যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দেশে ফিরবেন এবং প্রেসিডেন্ট মইসির শেষকৃত্যে অংশ নেবেন।

৫৩ বছর মইসিকে ৭ জুলাই হত্যা করা হয়। এরপর দেশটিতে অস্থিরতা বাড়তে থাকলে জনসাধারণের চলাচলের ওপর অবরোধ আরোপ করেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে। এ ছাড়া জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিস্থিতি শান্ত রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন তিনি।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলসহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা।

মইসিকে হত্যার পর পুলিশ জানিয়েছিল, ২৮ জন ভাড়াটে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এ হত্যাকাণ্ডে। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার। আর ২ জন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এই দলের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ জন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আরও ৮ জন পলাতক। জোভেনেল মইসিকে হত্যার মধ্যে দিয়ে হাইতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

জোভেনেল মইসি ২০১৭ সাল থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর পদত্যাগ দাবি করে দেশটিতে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়।