ইথিওপিয়ায় সাংবাদিক ও তাঁর বন্ধুকে গুলি করে হত্যা

ইথিওপিয়ার ‘তাইগ্রে টিভি’র একজন সাংবাদিক ও তাঁর বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা এক দুর্বৃত্ত। উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রের রাজধানী মেকেলেতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একজন ত্রাণকর্মী ও স্থানীয় এক বাসিন্দা স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। খবর রয়টার্সের।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গত নভেম্বর মাসে ইথিওপীয় সেনাবাহিনী ও তাইগ্রের সাবেক ক্ষমতাসীন দলের প্রতি অনুগত যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াইয়ের পর থেকেই ইথিওপিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ওই মাসের শেষ দিকে সেনাবাহিনী তাইগ্রের রাজধানী মেকেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একজন ত্রাণকর্মী বলেন, তাইগ্রের স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদিক ডাউইট কেবেডে গত মঙ্গলবার রাতে একটি গাড়িতে করে এক বন্ধুর সঙ্গে যাচ্ছিলেন। এ সময় এক বন্দুকধারী তাঁদের দুজনের মাথায় গুলি করে। পরের দিন গত বুধবার গির্জায় যাওয়ার সময় কিছু লোক গাড়ির ভেতরে তাঁদের লাশ দেখতে পান। পরে রেডক্রসকে জানানো হয়।

নিহত অপর ব্যক্তি ব্রেকেট বারহে সাংবাদিক ডাউইটের এক সহকর্মীর ভাই বলে জানা গেছে।

তাইগ্রেতে জরুরি অবস্থা ও মেকেলে শহরে নৈশকালীন কারফিউ জারি রয়েছে। এরই মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল। মেকেলের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার কারণ পরিষ্কার নয়।

টেলিভিশন চ্যানেলটির পরিচালনাকারী ‘তাইগ্রে ম্যাস মিডিয়া এজেন্সি’র পরিচালক কাহসে বিরু বলেছেন, ডাউইটকে গত শুক্রবার কিছু সময়ের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ তাঁকে চ্যানেল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

তাইগ্রেতে লড়াই চলাকালে কীভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে চায়।’

গণমাধ্যমের ওপর নজর রাখা কিছু সংগঠন বলেছে, ইথিওপিয়ায় গত বছর অন্তত ১৩ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। তাঁদের মধ্যে সাতজনকেই গ্রেপ্তার করা হয় গত নভেম্বরে তাইগ্রেতে লড়াই চলাকালে।