গিনিতে তিন বছর পর ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা সামরিক শাসকের
আফ্রিকার দেশ গিনির সেনা সরকারের প্রধান কর্নেল মামাডি ডুম্বুইয়া বলেছেন, তাঁদের ক্ষমতায় আরোহণের ৩৯ মাসের অন্তর্বর্তী সময় পার করার পর বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর বিবিসির
গত বছর সেপ্টেম্বর গিনিতে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরুর দিকে এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিল গিনির অনেক নাগরিক। তবে জান্তা সরকার সময়মতো বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় তা নিয়ে ক্রমাগত অসন্তোষ বাড়ছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য গিনির সেনা সরকারকে গত সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তবে সে সময়সীমা মানতে ব্যর্থ হয় জান্তা সরকার। এর জন্য আরও সময় চাওয়া হয়। জান্তা সরকার বলেছিল, ১৮ থেকে ৫২ মাসের একটি অন্তর্বর্তী সময়ের কথা ভাবছে তারা।
অবশেষে গতকাল শনিবার ৩৯ মাসের অন্তর্বর্তী সময়ের প্রস্তাব দিয়েছে তারা। গিনির পার্লামেন্টে এখন প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে। কর্নেল ডুম্বুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনিসহ অন্তর্বর্তী সরকারে অংশগ্রহণকারীদের কেউই সামনে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
গিনিতে অভ্যুত্থানের পর ৮০ সদস্যবিশিষ্ট ন্যাশনাল ট্রানজিশন কাউন্সিল (সিএনটি) গড়ে তোলা হয়। এটিই এখন দেশটির পার্লামেন্ট হিসেবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। দেশে পরবর্তী নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সিএনটির। তবে এখন পর্যন্ত সে কাজটি করা যায়নি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা দেখে গেছে। এর কোনোটি সফল হয়েছে আবার কোনোটি ব্যর্থ হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে গিনি-বিসাউতে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হন। মালিতে দুটি সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। নাইজারে একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।