লিবিয়ায় আইএেসর 'শিবির'

ইরাক ও সিরিয়ায় সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) লিবিয়ায় প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করেছে। এসব শিবিরে আইএসের কয়েক শ সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মার্কিন বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান গত বুধবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইরান আইএসের বিরুদ্ধে ইরাকে বিমান হামলা চালিয়ে থাকলে তা ‘ইতিবাচক’। দেশটি প্রতিবেশী ইরাকে আইএসের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে বলে পেন্টাগন মঙ্গলবার তথ্য দিলেও ইরান তা অস্বীকার করেছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও আল-জাজিরার।
মার্কিন বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান জেনারেল ডেভিড রদ্রিগেজ বলেন, লিবিয়ার উত্তরাঞ্চলে স্থাপিত আইএসের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো মার্কিন বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। শিবিরগুলো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে সেখানে হামলা চালানোর আশঙ্কা তিনি নাকচ করে দেন।
২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় অস্থিতিশীলতা চলছে। বেনগাজিসহ তিনটি শহরের নিয়ন্ত্রণ জঙ্গিদের হাত থেকে নিতে পারছে না দেশটির নির্বাচিত সরকার। দেশের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে কিছু কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইও চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী নিজেদের আইএসের সহযোগী বলে ঘোষণা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে জঙ্গিগোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটি গড়ে ওঠার আশঙ্কা করছে পাশ্চাত্য।
এদিকে জন কেরি বলেছেন, ‘ইরান যদি ইরাকের কোনো স্থানে আইএসবিরোধী হামলা চালিয়ে থাকে...তা যদি কার্যকর হয়, তাহলে এই কার্যকারিতা অবশ্যই ইতিবাচক।’
ইরানের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা অবশ্য ইরাকে কোনো ধরনের বিমান হামলা চালানোর কথা নাকচ করে দেন।