অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিগুণ কোয়ারেন্টিনে অলিম্পিক ফেরত খেলোয়ারেরা
সদ্য শেষ হওয়া টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিয়ে জাপান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরা খেলোয়ারদের বাধ্যতামূলকভাবে ‘দ্বিগুণ কোয়ারেন্টিন’ পালন করতে হবে। তবে এ ব্যবস্থাকে ‘নিষ্ঠুর ও অবহেলামূলক’ বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান অলিম্পিক কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিনসহ কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। কোভিডকালিন ভ্রমণ নীতিমালা মেলে টোকিও ফেরত খেলোয়ারেরা সিডনিতে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন পালন করছেন।
তবে ১৪ দিনের এই কোয়ারেন্টিন শেষে যেসব খেলোয়ার সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে চান, সেখানে তাঁদের আরও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলেও কোয়ারেন্টিনসহ কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে। এই নিয়মের বেড়াজালে টোকিও অলিম্পিক থেকে দেশে ফেরা খেলোয়ারদের সাউথ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী অ্যাডিলেডে আরও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। দুই দফায় তাঁদের ২৮ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।
গত বুধবার এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান অলিম্পিক কমিটি চার সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন পালনের এই ব্যবস্থার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাট ক্যারোল বলেন, ‘অলিম্পিক থেকে ফেরার পরে বিশ্বের অন্য দেশগুলো খেলোয়ারদের নিয়ে উদযাপনে মেতেছে। অথচ অস্ট্রেলিয়ায় আমরা নিজ দেশের খেলোয়ারদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ ও অবহেলা করছি। অলিম্পিকে গর্বের সঙ্গে যাঁরা দেশের সম্মান রক্ষা করেছে, তাঁদের জন্য এটা এক ধরনের শাস্তি।
বিবৃতিতে দেশটির অলিম্পিক কমিটি বলছে, টোকিওতে ব্যাপক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে খেলোয়ারেরা বসবাস করতেন। এছাড়া বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান টিমের ৫৬ জন সদস্যের বাড়ি সাউথ অস্ট্রেলিয়ায়। এ ছাড়া দেশটি থেকে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া আরও ১৬ জন সিডনিতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, অলিম্পিক দলের এসব সদস্যের সবাই করোনার টিকার পূর্ণডোজ নিয়েছেন।
এদিকে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান স্টিভেন মার্শাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দ্বিগুণ কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি আসলেই কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। তবে রাজ্যের মানুষের সুরক্ষার জন্য আমরা এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।